বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উলুবেড়িয়ার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় হারাধনবাবুর যে অ্যাকাউন্টটি আছে সেখানে তাঁর মিলের পেনশন আসত। এছাড়াও নিজে টাকা জমাতেন। তাঁর এটিএম কার্ড বা চেক বই নেই। তাই ভাউচারে সই করে টাকা তুলতেন। হারাধনবাবুর পরিবার সূত্রে খবর, পুরনো পাস বই শেষ হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার ব্যাঙ্কে নতুন পাস বই নিতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, গত ৮ ফেব্রয়ারি ৩০ হাজার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩০ হাজার এবং ১০ মে ৫ হাজার টাকা– এইভাবে মোট ৬৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। হারাধনবাবু জানান, প্রতিবারেই আমার ছেলে ভাউচারে টাকার অঙ্ক লিখে দেওয়ার পর আমি ব্যাঙ্কে গিয়ে সই করে টাকা তুলি। যে তিনদিন ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা হয়েছে, সেই তিনদিন তিনি ব্যাঙ্কে যাননি বলেও দাবি করেন ওই বৃদ্ধ। তাঁর দাবি, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবে, ওই তিনদিন আমি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম কি না। তাঁর অভিযোগ, তাঁর সই জাল করে কেউ টাকা তুলে নিয়েছে। হারাধনবাবুর ছেলে প্রভাকর বাগ জানান, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বাবা ব্যাঙ্কে টাকা জমিয়েছিলেন। কিন্তু যেভাবে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে, তাতে স্ত্রীর চিকিৎসা কীভাবে করাব, তা নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছি আমরা।