বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ডোমজুড় থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বাশা বিবাহিতা হলেও নিহত তাপস গলুইয়ের ছেলে প্রদীপ ওরফে ছোটকার সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। পূর্বাশা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল। সেকারণে দূরত্বও তৈরি করছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে তা মানতে চায়নি ছোটকা। উল্টে ঘনিষ্ঠতার ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় ছোটকার বাবা তাপস আসরে নামে। সে নিজেই সলপে ওই মহিলার বাড়িতে গিয়ে শাসিয়ে আসে বলে খবর। এরপরই মাথায় রক্ত ওঠে পূর্বাশার। সে তাপসকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ফন্দি আঁটে।
এই ঘটনায় ধৃত শীর্ষেন্দু সরকার ওরফে পিকুকে জেরা করেই এই তথ্য জানতে পারেন তদন্তকারীরা। পিকু বলেছে, ছেলের প্রেমিকাকে হুমকি দেওয়ার কারণেই বিপক্ষ দলের ‘হিট লিস্টে’ চলে আসে তাপস গলুই। পূর্বাশাই তাকে খুনের বরাত দিয়েছিল। তার ‘আব্দার’ ফেলতে পারেনি সে। আলুকে সঙ্গে নিয়েই রবিবার সকালে মাকড়দহের বাজারে তাপসকে ঝাঁঝরা করে দেয় সে। সোমবার দু’জনকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক চারদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
স্বামী না থাকলে ছোটকা প্রায়ই পূর্বাশার বাড়িতে আসত। ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল তাদের মধ্যে। তেমনই কিছু মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছিল ছোটকা। সম্প্রতি এই সম্পর্ক থেকে পূর্বাশা বেরিয়ে আসতে চাইলে আপত্তি জানায় ছোটকা। বলে, আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবে। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় শেষমেশ ময়দানে নামে তাপস নিজেই। সলপে ছেলের ‘প্রেমিকা’র বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় সে। আর এতেই সমস্যার সূত্রপাত। এরপরই প্রেমিকের বাবাকে খুনের ছক কষে পূর্বাশা। যোগাযোগ করে বিপক্ষ গোষ্ঠীর আলু, পিকুদের সঙ্গে। এদিকে, পূর্বাশার প্রতি আগে থেকেই দুর্বলতা ছিল পিকুর। তাই এই ‘নারী-আব্দার’ ফেরাতে পারেনি সে। তার মন পেতেই সে নেমে পড়ে অপারেশনে। দিনকয়েক আগে বাড়ি গিয়ে তাপসকে খুনের চেষ্টা করেছিল সে। শেষপর্যন্ত রবিবার সকালে সাগরেদদের সঙ্গে নিয়ে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় তাপসের দেহ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিস বিষয়টিকে গ্যাং ওয়ার বলে ভাবলেও পরে তা চাঞ্চল্যকর দিকে মোড় নেয়। দলগত শত্রুতার তত্ত্ব সরিয়ে উঠে আসে নারী কেন্দ্রিক বিবাদ। রাতেই সলপের বাড়িতে হানা দিয়ে পূর্বাশা মাজিকে গ্রেপ্তার করে ডোমজুড় থানা। যদিও এ প্রসঙ্গে পূর্বাশার দাবি, প্রকৃত অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন।