বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ঘটনার পর শ্রীরামপুর সহ জেলাজুড়ে নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিস। বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই সুপারি কিলারের কোনও হদিশ মেলেনি। চন্দননগর কমিশনারেটের একাধিক কর্তা এদিনই শ্রীরামপুর থানায় এসে ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর করেন। এনিয়ে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। পুলিসের এক কর্তা বলেন, পরিস্থিতির সুযোগ
নিয়ে কৃষ্ণ সরকার পালিয়েছে। তবে দ্রুত নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, ওই দুষ্কৃতী শ্রীরামপুরেই আছে। তাকে আমরা ধরে ফেলব। পলাতক কৃষ্ণ সরকারের আইনজীবী যতন রায় বলেন, আমি আইন ও আদালতের উপরে ভরসা রাখি। পুলিসের সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করতে বলেছি আমার মক্কেলের পরিবারকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আদালতে হাজির করার আগে কৃষ্ণকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার গভীর রাত থেকেই কৃষ্ণ শরীর খারাপের বাহানা শুরু করে। পুলিস বিষয়টি বুঝতে পারলেও আইনি বাধ্যবাধকতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালত চত্বরের পিছন দিকে একটি ছোট গেট রয়েছে। কখনও কখনও পুলিস অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়ার কাজে সেটি ব্যবহার করে। এদিনও সেখান দিয়েই কৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গেটটি সঙ্কীর্ণ হওয়ায় পাশাপাশি দু’জন যেতে পারে না। সেখান দিয়ে ঢোকার মুখে আচমকা পিছনের পুলিসকর্মীকে ধাক্কা দিয়ে দৌড় লাগায় কৃষ্ণ। তার পিছনে ধাওয়া করেও নাগাল পায়নি পুলিস। ঘটনার জেরে শহরময় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র দু’দিন আগে পুলিসের প্রশংসা জুটেছিল এই খুনের ঘটনায় দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারার কারণে। এই ঘটনায় পুলিসকর্তাদের বিড়ম্বনা তাই আরও বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যধরপুরের একটি পুকুর থেকে গৌতম দাস নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে দেখা যায়, বিপুল সম্পত্তির মালিকানা পেতে ভাই উজ্জ্বল তাঁকে খুন করার সুপারি দিয়েছিল কৃষ্ণকে। গত বুধবার রাতে রাস্তার উপর গৌতমবাবুকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর ওই পুকুরে ফেলে দেয় কৃষ্ণ। তদন্তে নেমে শুক্রবার গভীর রাতে পুলিস কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে জেরা করে গৌতমবাবুর ভাইকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকে পালানোর আগে পর্যন্ত সে পুলিস হেফাজতেই ছিল।