পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সুন্দরবনে এমনই এক পাখিঘর (অ্যাভিয়ারি) আগেই তৈরি হয়েছিল। নতুন করে বানিয়ে তোলা হচ্ছে সেটিকে ফের। সে কাজ প্রায় শেষ। সেই পক্ষীরালয়ে আকাশ থেকে ডেকে আনা হয়েছে বদ্রি, ককাটেল, লাভ বার্ডসদের। সেই ঘর এখন তাদের নয়া ঠিকানা। নতুন বাসস্থানে চলছে প্রশিক্ষণের পালা। গান শুনতে, বন্ধুত্ব পাতাতে তাদের এই ঠিকানায় মানুষ আসবে। ঘরে বসে দু’তরফের বন্ধুত্ব হবে। মানুষের হাত থেকে খাবার খাবে পাখিরা। কানে গান শুনিয়ে যাবে। অতিথি বৎসল হওয়ার সেইসব আদব কায়দাই এখন শিখছে তারা।
ক্যানিংয়ের নিকারিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাণীবাদা বেলেখালি গ্রাম। সেখানে আছে এই কাচে ঢাকা পাখিঘর। ছোট ছোট গাছের সারি দিয়ে তৈরি ছোট মাপের অরণ্য। শুকনো ডালে পাখির বাসা। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাচের ছাদের একাংশ কালো কাপড়ে ঢাকা। ৮০০০ বর্গফুট এই ঘরই ঠিকানা চার প্রজাতির পাখির। সেই ডেরায় এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। নিয়মিত চলছে ক্লাস। ছোট বাচ্চাদের শেখানো হয়, অচেনা কারও থেকে কোনও খাবার না নিতে। এই ছোট প্রাণীগুলিকে অবশ্য অচেনা মানুষের হাত থেকে খাবার নেওয়া এবং খাওয়া শেখানো হচ্ছে। অ্যাভিয়ারির কর্মীরা হাতে খাবার রেখে, মুখ দিয়ে সাংকেতিক শব্দ বের করে আকৃষ্ট করছেন পাখিদের। এই ঘরের দায়িত্ব পেয়েছে তিনটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। তারা পরিচর্যার কাজ করছেন। আপাতত তিন প্রজাতি যদিও তবে ভবিষ্যতে এ সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং প্রশাসনের। ক্যানিং এক নম্বর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর দাস বলেন, অ্যাভিয়ারির পাশাপাশি ভবিষ্যতে এখানে রঙিন মাছের অ্যাকোরিয়াম, প্রজাপতি বাগান এবং ভেষজ উদ্ভিদের বাগানও তৈরি করা হবে।