কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সূত্রের খবর, বুধবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় শশীকান্ত বুড়িখালির ফ্ল্যাটে আসার পরেই টিনার সঙ্গে বচসা শুরু হয়। বচসা চলাকালীন দু’জনেই ফ্ল্যাটের বারান্দায় চলে আসেন। সেখানে দু’জনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লে বারান্দার রেলিংয়ের কাচ ভেঙে যায়। সেই ভাঙা কাঁচে টিনার পা কাটে। তারপর ধাক্কাধাক্কির মধ্যে টাল সামলাতে না পেরে তিনি নিজে পড়ে যান, ঝাঁপ দেন নাকি তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়, তা জানতেই চলছে তদন্ত। বুধবার গভীর রাতে রাজাপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় পানশালার গায়ক শশীকান্ত মালিকের এভাবে মৃত্যু হয়। মৃতের স্ত্রী শশীকান্তের প্রেমিকা টিনার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করলে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার টিনাকে উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এদিকে, শুক্রবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, কেয়া সরকার ওরফে টিনা নামে ওই মহিলা কি কাজ করত, তা কেউ জানে না। তবে প্রতিদিন সন্ধ্যায় একটি প্রাইভেট গাড়ি তাকে নিতে আসত এবং গভীর রাতে সে বাড়ি ফিরত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যে আরও জেনেছেন, টিনার সঙ্গে শশীকান্তর সর্ম্পক থাকলেও তার একাধিক পুরুষ বন্ধু ছিল। ইদানিং সর্ম্পকের টানাপোড়েনও চলছিল তাদের মধ্যে। কিছুটা গোপনে তারা সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি পুলিসের।