গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শহরের উত্তরাংশে ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সম্প্রতি সরব হয়েছেন বেআইনি নির্মাণ নিয়ে। যার মধ্যে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে রীতিমতো পোস্টারিং করা হয়েছে বেআইনি নির্মাণ বন্ধের দাবিতে। কোথাও কোথাও আবার এই সমস্ত নির্মাণের সঙ্গে পুরসভার জড়িত বলে অভিযোগও তোলা হয়েছে। অভিযোগ, জি প্লাস ওয়ান বা টু-এর অনুমোদন নিয়ে তুলে ফেলা হচ্ছে পাঁচ কিংবা ছয়তলা। প্রতিবাদ করতে গেলে নির্মাতারা খুনের হুমকিও দিচ্ছে। মানুষের দাবি, পুরসভা সব জেনেও চুপ। বড়জোর কোথাও কোথাও স্টপ ওয়ার্ক নোটিস জারি করেই ক্ষান্ত হচ্ছে তারা। সম্প্রতি একটি বেআইনি নির্মাণের ঘটনা সামনে এনেছেন বাসিন্দারা। একটি আরটিআই-এর মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, জি প্লাস ওয়ান বাড়ি তৈরির অনুমোদিন নিয়ে শুরু হয়েছিল পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের একটি নির্মাণ কাজ। কিন্তু বাস্তবে সেটি মাথা উঁচিয়ে আছে পাঁচ তলা পর্যন্ত। প্রায় ছয় মাস আগে তার বিরুদ্ধে পুলিসকে জানিয়ে স্টপ ওয়ার্ক নোটিস জারি করেছিল পুরসভা। নাগরিকদের অভিযোগ, সেই নোটিসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে নির্মাণ। পুলিস কিংবা পুরসভা, কেউই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। প্রতিবেশীদের তরফে এনিয়ে পুরসভায় শেষ চারমাসে হাফ ডজনের বেশি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু তার কোনও ফল হয়নি। সব জেনেশুনেও কেন প্রশাসন চুপ? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একজন বাসিন্দা বলেন, বেআইনি নির্মাণ যাতে না হয়, সেই লক্ষ্যে পুরসভা ব্যবস্থা নিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু যেগুলি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৈরি হয়েই চলেছে, সেগুলি কেন দেখেও দেখছে না প্রশাসন? এ বিষয়ে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, আমরা বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে নিয়মিত কাজ করছি। ইতিমধ্যেই দমকলকে নিয়ে বৈঠক করেছি, যাতে পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে তারাও ব্যবস্থা নেয়। আগে এই কাজের জন্য আমাদের একটিমাত্র টিম ছিল। যা বর্তমানে চারটি হয়েছে। কোর্টের অর্ডার থাকলে সঙ্গে সঙ্গে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আর বেআইনি নির্মাণের খবর এলে আমরা ‘স্টপ ওয়ার্ক’-এর নোটিস জারি করছি। কিন্তু তারপরেও কাজ হচ্ছে কি না, সেটা দেখা পুলিসের কাজ। কারণ আমরা বিষয়টি পুলিসকেও জানিয়ে দিচ্ছি।
তবে কি পুলিসের গাফিলতিতেই এই ওয়ার্ডগুলিতে বেআইনি নির্মাণের বাড়বাড়ন্ত? হাওড়া পুলিসের এক কর্তা বলেন, পুরসভা যেমন যেমন তথ্য দিচ্ছে, আমরাও তেমন তেমন কাজ করছি। প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যোগাযোগ করা হয় হাওড়া পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) অনুপম সিংহের সঙ্গেও। তিনি ফোন তোলেননি। বার্তা পাঠানো হলেও উত্তর দেননি।