বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১২ সালে পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের পর নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে পার্ক স্ট্রিট থানায় গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীকালে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে শোরগোল পড়ে। শুরু হয় রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি। পরে মামলার তদন্তভার হাতে নেয় কলকাতা গোয়েন্দা পুলিস। তারা এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করে রুমান খান, নাসের খান ও সুমিত বাজাজকে। ষড়যন্ত্র, গণধর্ষণ, হুমকি, মারধর করার অভিযোগে মামলা হয় তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু দুই অন্যতম অভিযুক্ত কাদের খান ও তার খুড়তুতো ভাই আলি খানের সন্ধান মেলেনি তখন। তারা এই শহর ছেড়ে চম্পট দিয়েছিল। মামলার তদন্ত শেষ করে পুলিস ২০১২ সালের মে মাসে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে চার্জশিট পেশ করে। সেই চার্জশিটে কাদের খান ও আলি খানকে ফেরার দেখানো হয়। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে প্রথমে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও পরে হুলিয়া জারি করা হয়। কিন্তু তারপরও হদিশ না মেলায় আদালতের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়। নেওয়া হয় নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি। কলকাতা নগর দায়রা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে শুরু হয় এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া। শুনানি চলাকালীন আদালতেই রুমান, নাসের ও সুমিতকে শনাক্ত করেন নির্যাতিতা। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন বিচারক চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য তিন অভিযুক্তকে গণধর্ষণ, ষড়যন্ত্র, হুমকির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। তবে রায় বেরনোর আগেই অসুস্থতার কারণে মারা যান নির্যাতিতা সুজেট জর্ডন।
এদিকে, রায় বেরনোর বছর খানেক বাদে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিসের একটি টিম গ্রেটার নয়ডার কাসনা থেকে গ্রেপ্তার করে ‘ফেরার’ কাদের খান ও আলি খানকে।
কাদের ও আলিকে গ্রেপ্তারের পর তাদের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হয় আদালতে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৪৭ জন। তবে সুজেট মারা যাওয়ায় তাঁর আগের সাক্ষ্যকেই আদালত আইনগ্ৰাহ্য বলে গ্রহণ করে। সেই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব মেটার পর এই মামলার সওয়ালের দিন ধার্য হয়।