কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিনের বৈঠকে মন্ত্রী সিইএসসি কর্তাদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, রাজ্য সরকার এত টাকা দেবে কেন? সিইএসসিকে বিনি পয়সায় জমি দেওয়া হচ্ছে। সেই জমিতে চার্জিং স্টেশন করা হবে। সরকারি এবং বেসরকারি যে কোনও বাস সেখানে চার্জ করলে সুনির্দিষ্ট দরে পয়সা দিতে হবে। অর্থাৎ চার্জিং স্টেশন থেকে আয় করবে সিইএসসি। সংস্থার কর্তাদের ফিরহাদ হাকিম বলেন, আগামী দিনে ইলেকট্রিক যানই ভবিষ্যৎ। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার জমি দিয়ে সহায়তা করছে। ফলে চার্জিং স্টেশন করতে ১০০ কোটি টাকার দাবি কার্যত অমূলক বলে সংস্থার কর্তাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্তাদের এই চার্জিং স্টেশন তৈরির প্রস্তাব দিয়ে আয়ের বিকল্প পথের সন্ধান দিয়েছেন ফিরহাদ সাহেব।
এ প্রসঙ্গে পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে রাজ্যে ২ হাজার ইলেকট্রিক বাস নামবে। প্রথমে বৃহত্তর কলকাতার বুকে পেট্রল-ডিজেল চালিত যান পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার দিকে এগচ্ছি আমরা। আদালতের রায় মেনে ২০৩০ সালের মধ্যে সমস্ত গাড়ি ইলেকট্রিক এ রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ সাহেব স্বীকার করে নিয়েছেন, সিইএসসি কর্তারা চার্জিং স্টেশন করতে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সাফ জানিয়ে দিয়েছি রাজ্য সরকার এত টাকা দিতে পারবে না। কারণ, আমরা ওই সংস্থাকে বিনে পয়সায় জমি দিয়ে বিকল্প আয়ের সুযোগ দিচ্ছি। সিইএসসির কর্তারা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। অন্যদিকে সরকারি সংস্থা রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্তাদেরও একইভাবে চার্জিং স্টেশন তৈরি করে আয়ের নতুন পথ খোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্তারা বিষয়টি জানতেনই না। মন্ত্রীর সাথে এদিনের আলোচনায় খুশি সরকারি বিদ্যুৎ কর্তারা। এ প্রসঙ্গে পরিবহণ দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা বলেন, সিইএসসি রাজ্যে একচেটিয়া ব্যবসা করছে। রাজ্য সরকারের কাছেও অমূলক দাবি করছে ওই সংস্থা। মন্ত্রীর এদিনের কড়া অবস্থান সংস্থার শীর্ষ মহলে পৌঁছেছে। আশা করি আগামী দিনে সিইএসসি সরকারের সাথে সহযোগিতা করবে।