বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তিনি পেশায় আইনজীবী। এর আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিলেন। কিন্তু, পরে বিজেপিতে চলে যান। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনিই ছিলেন বারাকপুর অথবা নোয়াপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী পদের দাবিদার। কিন্তু, তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি। ২৫ ডিসেম্বর তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই রবীন্দ্রনাথবাবুর অনুগামীরা ‘বিক্ষুব্ধ’ হয়ে ওঠেন।
এদিন টিটাগড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলা অফিসে ওই যোগদান অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক ও বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। আর ছিলেন পুরপ্রশাসক।
পার্থ ভৌমিক বলেন, পুরনো ঘরে রবীন্দ্রনাথবাবুকে স্বাগত। তিনি কারও নাম না করে বলেন, এখন একজন বিজেপির সাংসদ হয়েছেন, তাঁর অঙুলি হেলনে রবীন্দ্রনাথবাবুকে গুলি করা হয়েছিল। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা লড়াই করেছি। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গেই লড়ব। মন্ত্রী শোভনদেববাবু বলেন, জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের নিয়ে সদলবলে রবীন্দ্রনাথবাবু তৃণমূলে এলেন। তিনি বিজেপির প্রায় গোটা জেলাকে শূন্য করে দিয়ে আমাদের দলে এলেন। তাঁকে আমরা সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, আমি সংগঠন করার মানুষ। কিন্তু, বিজেপিতে জেলা সভাপতি হয়েও সংগঠনের কোনও কাজ করতে পারছিলাম না। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম। তিনি বলেন, এদিনও আমাকে রাজ্য বিজেপি থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল, আমি যেন তৃণমূলে যোগ না দিই।
আমাকে রাজ্যের লিগ্যাল সেলের আহ্বায়ক করা হবে। রবীন্দ্রনাথবাবু আরও বলেন, তৃণমূলে আমার সঙ্গেই এসেছেন বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য, সাধারণ সম্পাদক, অফিস সম্পাদক, কিষান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, লিগ্যাল সেলের সাধারণ সম্পাদক ও মহিলা মোর্চার সভাপতি। এক হাজারের বেশি কর্মীও যোগ দিয়েছেন। বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, এতে পার্টির কোনও ক্ষতি হবে না। ওঁর সঙ্গে যে লোকের সংখ্যা দিচ্ছেন, তাঁদের সাংগঠনিক ক্যাপাসিটি নেই। উনি যাঁদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন, তাঁদেরই নিয়ে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে বারাকপুরের সংগঠনের এবং পার্টির কোনও ক্ষতি হবে না।