বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সরকারি আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, এই আদেশ এক কথায় নজিরবিহীন। দোষী সাব্যস্ত বাড়ির মালিক যে পুরসভার নিয়ম-কানুনকে অগ্রাহ্য করে বহুতলটি নির্মাণ করেছিলেন, সেটি কলকাতা পুর আদালতের পাশাপাশি কলকাতা নগর দায়রা আদালতেও প্রমাণিত হয়ে যায়। তাই সেদিক থেকে আদালত এই আপিল মামলায় যে রায় দেয়, তাতে সরকার পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এর থেকে কিছুটা হলেও অসাধু বাড়ির মালিক ও প্রমোটাররা শিক্ষা নেবেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর কলকাতার চিৎপুর থানা এলাকায় পুরসভার প্ল্যান বহির্ভূত
ওই বেআইনি নির্মাণটি গড়ে
তোলা হয়েছিল। কলকাতা পুরসভার তরফে ওই বেআইনি নির্মাণ বন্ধ রাখার জন্য নোটিসও দেওয়া হয়। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করে ওই নির্মাণ চলতে থাকে। পরবর্তী সময় কলকাতা পুরসভার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগের ভিত্তিতে চিৎপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় বাড়ির মালিককে অভিযুক্ত করা হয়। সেই মামলায় তদন্ত শেষ করে তদন্তকারী পুলিস অফিসার কলকাতা পুর আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে চার্জশিট পেশ করেন। গ্রেপ্তারি এড়াতে ওই বাড়ির মালিক কলকাতা পুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। মামলার বিচার শুরু হলে সেখানে বিভিন্ন সাক্ষীর বয়ান, বেআইনি নির্মাণটির নানা ফটোগ্রাফ, মানচিত্র এবং পারিপার্শ্বিক বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিচারক ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই বহুতলটি ভাঙার নির্দেশ দেন। সেক্ষেত্রে পুর আদালতের নির্দেশ ছিল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়িটি ভাঙা না হলে পুরসভা যেন উদ্যোগ নিয়ে ওই বাড়িটি ভাঙার সব রকমের ব্যবস্থা করে। ওই আদেশকেই চ্যালেঞ্জ করে বাড়ির মালিক পরবর্তী সময় কলকাতা নগর দায়রা আদালতে আপিল মামলায় যান। সেই মামলায় নগর দায়রা আদালতের বিচারক ওই আদেশ দেন।