ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে হাওড়া জেলার গড়চুমকু একটি অন্যতম স্থান। কলকাতা থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দূরে হুগলি ও দামোদরের সঙ্গমস্থলে ১৯৯১ সালে গড়ে ওঠে এই কেন্দ্র। শীতের মরশুমে পিকনিকের মজা উপভোগ করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা ছুটে আসেন এখানে। তবে শুধু পিকনিক নয়, সপ্তাহান্তে নির্জন, শান্ত পরিবেশে দু’দিনের ছুটি কাটাতেও অনেকে চলে আসেন গড়চুমুকে। পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করতে ২০০৮ সালে এখানে গড়ে ওঠে মিনি জু। নিয়ে আসা হয় হরিণ, কুমির, ময়ূর, সজারু, কচ্ছপের পাশাপাশি নানা ধরনের পাখি। প্রতি বছর পর্যটকদের ভিড়ও বাড়তে থাকে। তবে কোভিডের ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়েছিল এটি। যদিও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি কেন্দ্রটি খুলেছে। নতুন সাজে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে একে। পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে থাকা ‘মিনি জু’কে ‘স্মল জু’তে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি গড়ে উঠছে বোটানিক্যাল পার্ক। হাওড়া জেলা পরিষদ সূত্রে খবর, এই ‘স্মল জু’তে আরও বেশি পশুপাখির সঙ্গে বাঘ নিয়ে আসার পরিকল্পনাও রয়েছে। সেই মতো এনক্লোজার বানানো হচ্ছে।
জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য জানান বাঘ, হায়না, ভালুক, কুমির, জেব্রা আনার পরিকল্পনাও আছে। সেই মতো প্রস্ততিও নেওয়া হয়েছে। নানা ধরনের পাখিও আনা হবে। এ বিষয়ে হাওড়া-হুগলি বন বিভাগীয় আধিকারিক রাজু সরকার জানান, গড়চুমুকে বাঘ আনার জন্য আমরা মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে সেন্ট্রাল জু অথরিটির কাছে পাঠিয়েছি। বাঘের জন্য প্রয়োজনীয় এনক্লোজারও বানিয়েছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর পর্যটকরা গড়চুমুকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখতে পাবেন।