কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার থেকে পাঁচমাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়াঙ্কার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আবিরই তাঁকে খুন করে রিজার্ভারে লুকিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। ওইদিনই খুনের অভিযোগে পুলিস আবিরকে গ্রেপ্তার করেছিল। সেই সঙ্গে বিয়ের পর থেকে বধূ নির্যাতনের অভিযোগে আবিরের মা সবিতা পুরকাইতকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার আবির ও তার মাকে বারাকপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছিল। খুনের তদন্তের জন্য আবিরকে ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিস। আদালত আটদিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেছে। তার মায়ের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রিয়াঙ্কাদেবীর বাপের বাড়ি বাঁকুড়ায়। বুধবার দুপুরে আবিরই প্রিয়াঙ্কার মাকে ফোন করে বলেছিলেন, পিউকে (প্রিয়াঙ্কার ডাক নাম) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। জগদ্দলের শান্তিগড় এলাকাতেই প্রিয়াঙ্কার মাসি থাকেন। তিনি বাড়ি যাওয়ার পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। বাড়িতে তখন আবির ছিল। ঘটনাস্থল থেকেই পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রিয়াঙ্কার মা বলেন, বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করত। মেয়েকে খেতে দিত না, মারধর করত। কিন্তু খুন করে দেবে, সেটা ঝুঝতে পারিনি।
প্রিয়াঙ্কার মাসতুতো দাদা সন্দীপন মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেন, আমার বোন ওর বাবাকে বলেছিল, আবিরের অফিসে এক মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আমি নিজে বোনের বাড়িতে গিয়ে ওর গায়ে আঘাতের কালশিটে দাগ দেখেছি। প্রচুর অত্যাচার করত। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মাছ-মাংস খেলেও বোনকে দিত না। ও আলুসিদ্ধ-ভাত খেত। আবির বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে জলের রিজার্ভারে ঢুকিয়ে দিয়েছিল।
পুলিস জানিয়েছে, নির্যাতন করত বলে জানা গিয়েছে। তবে, সঠিক কী কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।