বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
দেরির বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মনোজ যোশি। তাঁর কথায়, করোনার জন্য কাজের গতি শ্লথ হওয়ায় ভিন রাজ্য থেকে ‘ফারার সেফটি ডোর’ আসতে দেরি হয়েছে। কারণ, গোটা দেশে হাতে গোনা কয়েকটি সংস্থা এই অগ্নি নিরোধক সামগ্রী তৈরি করে। তারা জানিয়েছে, করোনার জন্য সেফটি ডোর তৈরির কাজে ভাটা পড়েছে। তাই গোটা পরিকল্পনা খানিকটা পিছিয়ে দিতে হয়েছে। যোশি বলেন, এই মুহূর্তে ভূগর্ভে শিয়ালদহ স্টেশনে ‘ফায়ার সেফটি ডোর’ বসানোর কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই তা শেষ হবে। তারপর রাজ্য দমকল দপ্তর পরিদর্শন করবে। অগ্নিনির্বাপণ সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেলেই আমরা কমিশন অব রেলওলে সেফটির (সিআরএস) কাছে আবেদন করব। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রকের অধীনে থাকা সিআরএস মূলত নতুন পথে ভারতীয় রেল এবং মেট্রোর যাত্রার সার্বিক নিরাপত্তা ও গুণমান খতিয়ে দেখে। সিআরএসের ছাড়পত্র মিললেই মেট্রোর চাকা গড়াবে শিয়ালদহ অবধি।
এ প্রসঙ্গে মনোজ যোশি বলেন, এ বছরের শেষেই সেই আবেদন জমা পড়বে। তারপর সিআরএস নয়া রুটের বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইতে পারে। এমনকী, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংযোজন বিয়োজনও করতে পারে তারা। সার্বিকভাবে সিআরএস সন্তুষ্ট হলে চূড়ান্ত পরিদর্শনে আসবেন সংস্থার কর্তারা। তারা লিখিতভাবে ছাড়পত্র দিলেই মাটির নীচে ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ছুটতে শুরু করবে মেট্রো। উল্লেখ্য, কেএমআরসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মানস সরকার আগামী মার্চে অবসর নিতে চলেছেন। স্বভাবতই তার আগে সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পথে মেট্রো চালু করে দিতে মরিয়া কর্তারা।
কী এই ‘ফায়ার সেফটি ডোর’? জানা গিয়েছে, মেট্রোর ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যালিং, টেলি কমিউনিকেশন রুমে এই বিশেষ দরজা লাগানো হয়। অগ্নিনির্বাপক সামগ্রী দিয়ে তৈরি এই দরজা আগুনকে বাইরে আসতে দেয় না। আসলে কোনও কারণে আগুন লাগলে ওই নির্দিষ্ট ঘরেই সীমাবদ্ধ থাকবে তা। অর্থাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দূর হবে। সেক্ষেত্রে সেই আগুনকে সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।