বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছোট্ট অনন্যাকে ঘিরেই প্রাণচঞ্চল ছিল মুহুরি বাড়ি। আশপাশের বাড়ির কচিকাঁচারা খেলতে এই বাড়িতেই আসত। খেলার সাথী আর নেই। তাই এদিন আর এই বাড়ির চৌহদ্দি মারায়নি তারা। বাড়ির সামনে দিয়ে কেউ গেলে আদো আদো গলায় ডাকত অনন্যা। মিশুকে মনের হওয়ায় গ্রামের সকলের কাছেই প্রিয় ছিল সে। সোমবার একথাই বলছিলেন প্রতিবেশী আভা দাস। তাঁর কথায়, প্রতিদিন ওদের বাড়িতে যেতাম। আমার ছোট ছেলের খেলার সঙ্গী ছিল অনন্যা। এখন আর ওই বাড়ির সামনে যেতে পারছি না। কী করে যাব! বলতে বলতে চোখ ভিজে এল তাঁর।
বাগদার পারমদন গ্রামের বৃদ্ধা শিবানী মুহুরির মৃতদেহ সৎকার করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় জখম হন বৃদ্ধার ছোট ছেলে স্বপন মুহুরি। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন। কোলাহল মুখর বাড়ি একদিনেই পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। বাড়িতে লোক বলতে কেউ নেই আর। দু’দিন ধরে উঠোনের ধারে বাঁধা রয়েছে পোষা গোরু দু’টি। খাবার জোটেনি তাদের। সোমবার দুপুরে প্রতিবেশীরাই ভাতের ফ্যান ও সব্জির খোসা নিয়ে আসেন পশু দু’টিকে খাওয়াতে। আভাদেবীই বিচালি মেখে দেন। দু’দিন ধরে খাবার জোটেনি কাঠের কুঠুরিতে থাকা মুরগিগুলির। জলের জন্য ছটফট করছিল ওরা। শেষে এক প্রতিবেশীই জল এগিয়ে দেন ওদের। খাবারও প্রায় শেষ। এই বাড়িতে আবার কবে লোকজন আসবে, কেউ জানে না। এখন অবলা জীবগুলির ভরসা প্রতিবেশীরাই।