পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বারুইপুরের বিভিন্ন রুটে অটোচালকদের মর্জিমাফিক ভাড়া নিয়ে বারুইপুর পুলিস জেলার ট্রাফিক বিভাগ থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর সব অটো ইউনিয়দের নিয়ে এক মিটিং ডাকা হয়েছিল। সেই মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল প্রতি অটোতে নির্দিষ্ট অটো ভাড়ার তালিকা বা চার্ট সাঁটিয়ে রাখতে হবে। ১ অক্টোবর থেকে নিয়ম কার্যকর করার কথাও ছিল। কিন্তু, অভিযোগ, শাসকদলের অটো ইউনিয়নের চাপে সেই নিয়ম এখনও বলবৎ করতে পারেনি পুলিস প্রশাসন। প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগে ফের নেওয়া হচ্ছে মর্জিমাফিক অটো ভাড়া। যদিও এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিস জেলার এক আধিকারিক বলেন, পুজোর জন্যই এই প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। এর পিছনে আর কোনও কারণ নেই।
বারুইপুর স্টেশন, রেলগেট থেকে যে কোনও রুটের অটোতে উঠলেই যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ টাকা। রেলগেট থেকে মহকুমা হাসপাতাল ও ফুলতলা থেকে শিবানীপীঠ সামান্য কয়েক মিনিটের দূরত্ব ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা বা ২০ টাকা, এমনই অভিজ্ঞতা যাত্রীদের। পাশাপাশি, যাত্রীদের আরও অভিযোগ, বারুইপুর স্টেশন, রেলগেট, পুরাতন বাজারের মোড় থেকে ক্যানিং পর্যন্ত অটো ভাড়া ৩০ টাকার বদলে নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা। সন্ধের পর তাও বেড়ে হয়ে যায় ৬০ টাকা। একই অবস্থা চলছে বারুইপুর-গোচরণ, চম্পাহাটি, গড়িয়া, উত্তরভাগ, ফুলতলা, কল্যাণপুর রুটে। যাত্রীরা বলেন, বারুইপুর স্টেশন, রেলগেট, পুরাতন বাজারের মোড় থেকে গোচরণ পর্যন্ত কোনও যাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা, কারুর কাছ থেকে ৩০ টাকা। গড়িয়া পর্যন্ত যেতে সকালে ৩০ টাকা নেওয়া হলে বিকালের পর হয়ে যায় ৪০ টাকা। রাজপুরের ভাড়া ২০ টাকার বদলে নেওয়া হয় ৩০ টাকা। চম্পাহাটি যেতে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে কখনও ৩০ টাকা কখনও ৪০ টাকা। নির্দিষ্ট ভাড়া নেই কোনও রুটেই। এক বয়স্ক যাত্রী বলেন, চালক থেকে যাত্রী কারও মুখেই মাস্ক থাকে না। সব উধাও। বারুইপুরে শাসকদলের এত চাপ যে, পুলিস প্রশাসন নিয়ম চালু করতেই পারবে না। বারবার মিটিংয়ে নিয়ম তৈরি হয়েছে, কিন্তু কাজ হয়নি। যাত্রীদের ভোগান্তি নিয়েই চলতে হবে।