কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা রাজ্যে করোনা সংক্রমণের নিরিখে এক সময় কলকাতাই ছিল প্রথম স্থানে। কিন্তু, গত মে মাসে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর তার রেশ ধরে কলকাতাকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা। ওই মাসে প্রতিদিন গড়ে চার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন করোনায়। হিসেব বলছে, এখনও প্রথম স্থানেই রয়েছে এই জেলা। তবে, জুন মাসের পর সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমে এসেছে। সোমবারের করোনা বুলেটিন অনুযায়ী, এই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৮ হাজার ৩৩৩। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ লক্ষ ২২ হাজার ২৬৪ জন। এদিন পর্যন্ত জেলায় এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৮০৯ জনের। সংক্রমণ রুখতে এখন জেলায় ৫৬টি কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা প্রথম ডোজের টিকা পেয়ে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৬২ লক্ষ মানুষই বিনামূল্যে পেয়েছেন জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পুরসভা থেকে। বাকি আট লক্ষ মানুষ টিকা নিয়েছেন অন্য জেলার সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে, নাহয় কোনও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে। প্রথমদিকে ভ্যাকসিনের জোগান কম থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, দিন যত এগিয়েছে, জোগানও তত বেড়েছে। তাই টিকাপ্রাপ্তদের সংখ্যাও বেড়েছে দ্রুত। বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য জেলার একাধিক জায়গায় স্পেশাল ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করেছিল প্রশাসন। তার মধ্যে সুপার স্প্রেডার গ্রুপের সদস্য তথা জেলার বিভিন্ন বাজারগুলিকে টার্গেট করা হয়েছিল। বাজারেই ক্যাম্প করে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পুরসভা উদ্যোগ নিয়ে অশীতিপর ও শারীরিকভাবে অক্ষমদের বাড়িতে গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। তাতে কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এছাড়াও, এখন কলেজে স্পেশাল ক্যাম্প করে পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) ইউনিস রিসিন ইসমাইল বলেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে জেলায় ভ্যাকসিন পাওয়ার মতো মোট ৮০ লক্ষ মানুষ রয়েছেন। তার মধ্যে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। এর মধ্যে আবার প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষের দ্বিতীয় ডোজও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের জেলায় প্রতিদিন গড়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।