বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির পরিষেবা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে রয়েছে। সেখানকার একজন মাত্র চিকিৎসক। তিনিও নিয়মিত আসেন না। ফার্মাসিস্ট এবং নার্সিং স্টাফকেও সেখানে নিয়মিত পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ। এমনকী কোনও রোগীরা সমস্যা নিয়ে সেখানে গেলে সেখানকার একজন গ্রুপ-ডি কর্মী রোগী দেখেন এবং ওষুধ দেন। দিনের পর দিন এই ঘটনা চলার পর মানুষ মৌখিকভাবে বিভিন্ন মহলের পাশাপাশি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসকে অভিযোগ জানালেও কোনও কাজ হয়নি। এদিন তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনাস্থলে চিকিৎসক এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান জনতা। স্থানীয় এক বাসিন্দা সুজিত চক্রবর্তী বলেন, আমি কোনও প্রয়োজনে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যখনই আসি না কেন, কোনও সময় চিকিৎসকের দেখা পাই না। একজন সাফাইকর্মী এখানে ওষুধ দেন। এখানে সাফাইকর্মী স্বাস্থ্যকেন্দ্র সাফাই না করে চিকিৎসা করছেন। দিনের পর দিন এই জিনিস চলছে। অন্য আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপ সিকদার বলেন, আমি অ্যাসিডে ক্ষত একটি শিশুকে নিয়ে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র গেলে আমাকে দূর থেকেই চলে যেতে বলা হয়। পরে আমি চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ওই শিশুর চিকিৎসা করাই। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যদি প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবাটুকু না পাওয়া যায়, তবে সেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকার মানে কী! প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। এই বিষয় ওই গ্রুপ-ডি কর্মী আশুতোষ রায় বলেন, ডাক্তারবাবু বলেছেন, তাই আমি প্রাথমিক কিছু ওষুধ দিচ্ছি। অন্যদিকে, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক রাজু কবিরাজ বলেন, ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার প্রজেক্ট নিয়ে নানা জায়গায় ভিজিট করতে হয়, তাই রোজ আসা যায় না। স্টাফের অভাব থাকলে গ্রুপ ডি স্টাফ কিছু ওষুধ দিতে পারে, যেটা প্রোটোকলের মধ্যে পড়ে। গুরুতর কেস হলে রেফার করা হয়। যদিও গ্রুপ ডি স্টাফ ওষুধ দিতে পারেন না বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক।