সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: দুই মাসের মধ্যে পরপর দু’বার বন্যা। বন্যার জলের তোড়ে প্রায় ৫০ ফুট ভেঙে গিয়েছে উদয়নারায়ণপুরের ভবানীপুর বিধিচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনাগুড়ি এলাকার একটি ঢালাই রাস্তা। অবশ্য শুধু এই এলাকার রাস্তাই নয়। অন্য জায়গাতেও কোথাও ৩০ ফুট, আবার কোথাও ১০০ ফুট রাস্তা জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। একাধিক রাস্তার পিচের আস্তরণ উঠে গিয়েছে। বন্যার পরে উদয়নারায়ণপুরের রাস্তাঘাট এখন কার্যত কঙ্কালসার চেহারা নিয়েছে। এখনও রাস্তা সংস্কার শুরু হয়নি। তবে নদীবাঁধ ও বাঁধ সংলগ্ন রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেছে সেচদপ্তর। ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই অন্য সব রাস্তা সংস্কার শুরু হবে।
চলতি বছর প্রথমে জুলাই-আগস্ট মাসে, পরে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বন্যার কবলে পড়ে উদয়নারায়ণপুর। বন্যার জলে ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্লাবিত হয়েছিল। ফলে বহু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদয়নারায়ণপুর ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্যার জলে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০০টির বেশি গ্রামীণ রাস্তা, ১২টির বেশি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা এবং ২টি রাজ্য সড়কের ক্ষতি হয়েছে। পাঁচারুল থেকে জয়নগর ব্রিজ পর্যন্ত এবং ডিহিভূরসুট পর্যন্ত রাজ্য সড়কের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও সেহাগড়ি থেকে ঘোষপাড়া পর্যন্ত সড়কেরও ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সাধারণত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে গ্রামীণ রাস্তাগুলি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এখনও উদয়নারায়ণপুরের একাধিক জায়গা জলের নীচে। তাই সেভাবে সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারেনি পঞ্চায়েত। তবে দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত মণ্ডল জানান, ব্লক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার পরিসংখ্যান চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। আমরা সেটি পাঠিয়ে দিয়েছি।
রাস্তাঘাটের ক্ষতি সর্ম্পকে উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান, পরপর দু’বার বন্যা কার্যত শেষ করে দিয়েছে উদয়নারায়ণপুরকে। চাষবাসের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। আমরা গ্রামীণ সড়কগুলি দ্রুত সারানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। ব্লক প্রশাসন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তালিকা নিয়েছে। তারা তহবিল জোগাড়ের চেষ্টা করছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা ও অন্যান্য রাজ্য সড়ক সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকার ও হাওড়া জেলা পরিষদের কাছে তহবিল বরাদ্দের জন্য বলা হবে।