পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় নিশ্চিত করে দেশ থেকে বিজেপি হটানোর ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া শিবিরকে ধূলিসাৎ করার এই পর্বে তাঁর সাফ কথাই ছিল, সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে। উপনির্বাচনের পরই রাজ্যে পুরভোট করানো সম্ভব। ৩০ বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের টালিচালার অগ্নিকন্যা যে তাঁর প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেন না, বারবার বাংলার মানুষ সেই প্রমাণ পেয়েছে। ডিসেম্বরে পুরভোটও সেই প্রতিশ্রুতিরই আর এক নিদর্শন। আর তাই ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে কমিশনকে ভোটের জন্য প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে। তবে করোনার সংক্রমণের গতিপ্রকৃতিই যে ভোট নির্ঘণ্ট চূড়ান্ত করার একমাত্র ‘নিয়ন্ত্রক’, সেটাও বলছেন নবান্নের কর্তারা। যদিও পুরভোট নিয়ে এই তৎপরতার মধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, নির্বাচন করাতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে। না হলে, আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। কলকাতা সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভা গত কয়েক বছর ধরেই চলছে প্রশাসকমণ্ডলীর পরিচালনায়। দৈনন্দিন কাজকর্ম তারাই দেখভাল করে। আগামী ৩০ অক্টোবর খড়দহ সহ চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে। ৪ নভেম্বর কালীপুজো। ১০ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজো। আর ১০-১১ তারিখ ছটপুজো। তারপরই, অর্থাৎ ১২ নভেম্বর কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। সেক্ষেত্রে তার এক মাসের মধ্যেই ভোট। সূত্রের খবর, এই ভোট চলতি ভোটার তালিকাতেই হবে। কারণ, ১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। ২০১৮ সালে পানিহাটি, হাবড়া সহ ১৮টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়। তারপর একে একে রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাগুলির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মোট ১১২টি পুরসভা এখন রয়েছে প্রশাসকমণ্ডলীর হাতে। তৃণমৃলের বক্তব্য, গত দেড় বছরে গোটা রাজ্যে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছিল, তাতে ভোট করানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আট দফায় বিধানসভা ভোট হওয়ায় করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় সেই সঙ্কট সামাল দেওয়া গিয়েছে। এখন কলকাতার অধিকাংশ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন। তাই পুরভোট করাই যেতে পারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, পুরভোট ও পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রে দিনক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। পুরভোটের ক্ষেত্রে পুরদপ্তরের প্রধান সচিব রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানান, কবে ভোট হবে। আর পঞ্চায়েত ভোটের ক্ষেত্রে চিঠি দেন পঞ্চায়েত সচিব। তবে আগামী দু’-তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের ১১২টি পুরসভার যে ভোট হতে চলেছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত।