রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ভারি বৃষ্টিতে গোসাবা ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬টি মৌজার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সাতজেলিয়া, রাঙাবেলিয়া, লাহিড়ীপুর ইত্যাদি অঞ্চলের পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। চাষের জমি থেকে গ্রামবাসীদের ঘর বাড়ি, রাস্তাঘাট– সবই জলের তলায় চলে গিয়েছে। প্রায় চার হাজার পরিবার জলবন্দি। এই পরিস্থিতিতে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমা জল বের করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৭০টি পাম্প বসিয়ে সেই জল বের করার ব্যবস্থা করা হয়। বিডিও বলেন, বেশ কিছু নিচু এলাকায় জল জমে গিয়েছিল। পাম্প বসানো হয়েছে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমাতেই।
এদিকে, টানা বৃষ্টির জেরে কুলতলির নৈপুকুরিয়া নদীবাঁধের বেশ কিছুটা অংশে ধস নামে। এই নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দেউলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটামারী বাজার এলাকায়। যশের কারণে এই এলাকার নদী বাঁধ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে কোনওরকমে মাটি ফেলে সেই বাঁধ রক্ষা করা হয়। কিন্তু গত দু’দিনের টানা বৃষ্টির জেরে ফের সেই বাঁধের মাটি সরে গিয়ে ধস নেমেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেখানে কাজ শুরু করেছে সেচদপ্তর। তবুও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না গ্রামবাসীদের। তাঁদের বক্তব্য, পূর্ণিমার কোটালে জল বাড়লে ফের ভাসবে গ্রামের পর গ্রাম। এই প্রসঙ্গে বারুইপুর মহকুমা শাসক সুমন পোদ্দার জানিয়েছেন, ব্লক এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে বাঁধ সারাই করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রশাসন সজাগ রয়েছে।