বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বাঙালবাবু ব্রিজের পর ফাঁসিতলা মোড় থেকে দক্ষিণে প্রায় এক কিলোমিটারের কাছাকাছি রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে হাওড়া ময়দান। এই ময়দান এলাকাই জুড়েছে হাওড়া শহরের উত্তর, মধ্য ও শিবপুর সহ দক্ষিণ প্রান্তকে। কলকাতাগামী একগুচ্ছ বাস ছাড়ে হাওড়া ময়দান থেকেই। এছাড়া অন্যান্য বাসরুটের মধ্যেই পড়ে হাওড়া ময়দান। ফলে হাওড়া শহরের মধ্যে যানবাহনের চাপ সবচেয়ে বেশি এই এলাকাতেই। কিন্তু দিন দিন দখলদারি বাড়তে থাকায় ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে যানজট। সমস্যা বাড়ছে পথচলতি মানুষেরও। কারণ পশ্চিমপাড়ের এই শহরে ফুটপাত এমনিতেই কম। এছাড়া ফুটপাত যেটুকু তৈরি হয়েছিল, তার পুরোটাই দখল হয়ে গিয়েছে। দখলদারির সংক্রমণ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, রাস্তার মাঝে ডিভাইডার তৈরির জন্য যে সরু ফুটপাত বানানো হয়েছে, সেগুলিতেও দখল জমাচ্ছেন কিছু ব্যবসায়ী। ফলে মেট্রোর কাজকে কেন্দ্র করে ‘হাল ফেরা’ হাওড়া ময়দান ফের মুখ লুকাচ্ছে কখনও জামাকাপড়ের স্টল, বা কখনও অন্যান্য জিনিসের অস্থায়ী দোকানের পিছনে। এর সঙ্গে রয়েছে অবৈধ পার্কিয়ের সমস্যাও। এক নিত্যযাত্রী অরুণ সামন্ত বলেন, অফিস যাওয়ার জন্য বাস ধরতে গেলে ফুটপাত দিয়ে হাঁটার উপায় নেই। সব ফুটপাতে জামাকাপড়ের দোকান হয়ে গিয়েছে। এমনকী অনেক জায়গায় ফুটপাত ছাড়িয়ে রাস্তার উপরেও অস্থায়ী দোকান করে নিয়েছেন অনেকে। এর ফলে রাস্তা সরু হয়ে যাচ্ছে। হাঁটতে গেলে সমস্যা বেড়ে যায়। কারণ দিন যত বাড়ছে, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও তো ক্রমশ বাড়ছে। হাওড়া পুরসভা বা পুলিস কেন ব্যবস্থা নেয় না, সেটাই প্রশ্ন। অন্য এক ব্যক্তি বলেন, ফুটপাত দখলের সমস্যা সর্বত্রই আছে। কিন্তু সেটা তো একটা সীমার মধ্যে থাকবে। বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যাওয়া ময়দান এলাকাকে সাজানোর পর একটু হাল ফিরেছিল। এখন দেখছি নতুন করে যা তৈরি হয়েছে, তাও দখল হয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে হাওড়া সিটি পুলিসের ডিসি ট্রাফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন তোলেননি। তবে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি আমাদের মাথায় রয়েছে। পুরসভা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। উৎসবের মরশুম কাটলে আমরা পুলিসের সঙ্গে আলোচনায় বসে কীভাবে এই দখলদারির সমস্যা মেটানো যায়, তা নিয়ে পর্যালোচনা করব। পাশাপাশি নতুন করে যাতে দখলদারি না বৃদ্ধি পায়, সেইদিকেও নজর রাখা হবে।