কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ডাচ উপনিবেশের সময় থেকেই মাটির নীচের এই সুরঙ্গগুলি বেয়ে শহরের জল পড়ত গঙ্গায়। আজ থেকে আড়াইশো বছরেরও আগে খিলান আকারে সেই সুরঙ্গ তৈরি হয়েছিল। তা আজও একইভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি মহসীন কলেজের পাশে ঘণ্টা ঘাটের সামনে সেই সুরঙ্গ বরাবর ধস নামে। চুঁচুড়ার বড়বাজারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত দত্ত লজ সংলগ্ন একটি খিলানের উপরেই বাড়ি দত্ত পরিবারের। চলতি বর্ষায় একটানা বৃষ্টির জেরে প্রতিদিন নীচের খিলান ও দেওয়াল ভেঙে পড়ছে বলে দাবি দত্ত পরিবারের। যা নিয়ে রীতিমত আতঙ্কিত তারা। টানেল পরিদর্শনে নেমে এদিন দত্ত বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন পুরসভার প্রতিনিধি দলটি। নৌকায় গঙ্গার দিক থেকে ওই টানেলে প্রবেশ করে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পর্যবেক্ষণও করে প্রতিনিধি দলটি। তাতে দেখা গিয়েছে, টানেলের কয়েক ফুট ভিতরে ডানদিকের দেওয়ালে ভয়াবহ বেশ কিছু ফাটল দেখা দিয়েছে। যা সংস্কারের না হলে উপরে দত্ত বাড়ির অংশ ধসের কবলে পড়তে পারে। তাই অস্থায়ীভাবে ওই পরিবারকে অন্যত্র সরে যাওয়ার আবেদন জানান পুর প্রশাসক। তিনি বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুরসভা। এনিয়ে কেএমডিএ’র সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে, চুঁচুড়ার স্থানীয় বাসিন্দা সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নিকাশি ব্যবস্থা সচল রাখতে টানেল সংস্কার করা অত্যন্ত প্রয়োজন। একবার বড়সড় ধস নামলে উপরে থাকা বাসিন্দাদের যেমন জীবন সংশয় হতে পারে, তেমনই নিকাশির মুখ বন্ধ হয়ে শহর জলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে। ইতিহাসকে বাঁচাতেও এই নিকাশির সংস্কার দরকার।