পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুজোর রাতে তৃণমূলের উপর আক্রমণ হয়েছে বলে অভিযোগ। নেতৃত্বের বক্তব্য, খোয়াই মহকুমার জাম্বুরা গ্রামে তৃণমূল কর্মী সুশীল মোদকের বাড়ি। লক্ষ্মীপুজোর রাতে হঠাৎ সুশীলের বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। ১০-১২ জন মোটরবাইকে চড়ে এসেছিল। তাঁদের মধ্যে অনেকে পড়ে ছিল হেলমেট। কারও মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, সুশীলের বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে সুশীলকে। দুষ্কৃতীদের অত্যাচারের হাত থেকে বাদ যায়নি সুশীলের পরিবারের লোকজনও।
একইদিনে হামলার শিকার হয়েছেন আরও এক তৃণমূল কর্মী। খয়েরপুরের বনিক্ক চৌমোহনীতে দুলাল দাসের দোকান। সেখানেও দুষ্কৃতীরা মুখ ঢাকা অবস্থায় গিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। মারধর করা হয়েছে দুলালবাবুকে।
তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, সুশীল মোদক ও দুলাল দাস গুরুতর আহত অবস্থায় আগরতলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক বলেছেন, বিজেপি ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তাই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা তৃণমূলের উপর হামলা চালাচ্ছে। সুশীল মোদকের বাড়িতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা জিনিসপত্র তছনছ করা হয়েছে। এছাড়াও দুলাল দাসের দোকানে জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ টাকার। ত্রিপুরায় বিজেপি শাসিত রাজ্যে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। অরাজক পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেছে তৃণমূল।
এবছর উৎসব পর্বে একাধিকবার তৃণমূলের উপর হামলার ঘটনার অভিযোগ এসেছে। লক্ষ্মীপুজোর রাতের ঘটনার আগে দুর্গাপুজোর অষ্টমী ও দশমীর দিন তৃণমূলের উপর হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল আঙুল তুললেও গেরুয়া শিবির তা মানতে নারাজ। ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, ত্রিপুরায় তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই
বিভিন্ন ঘটনাকে সামনে এলে বিজেপির উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে তৃণমূল ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্র করছে। টানা ১০ দিন বাজার, হাট সহ জনবহুল এলাকায় পথ সভা করে বিজেপি শাসিত রাজ্যের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে ত্রিপুরাবাসীর কাছে তুলে ধরা হবে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উন্নয়ন।