বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় খড়দহ কেন্দ্রের ভোট ছিল। কিন্তু, করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার আগের দিনই বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি হন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। ২৫ এপ্রিল ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই কেন্দ্রে কাজলবাবু বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করেন। তাঁদের জয়ের ব্যবধান ছিল ২৮,১৪০ ভোটের। মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরে প্রার্থী হওয়ার পরই শোভনদেববাবুকে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করার পরিকল্পনা করেন দলনেত্রী। এদিন সকালে শোভনদেববাবু খড়দহের কয়েকটি জায়গায় পথসভা এবং জনসংযোগ করেন। ছিলেন কাজলবাবুর স্ত্রী নন্দিতা সিনহা, দমদমের সাংসদ সৌগত রায় প্রমুখ। কাজলবাবুর মৃত্যুর পর নন্দিতাদেবীকে খড়দহ বিধানসভা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী করা হয়। এদিনই শান্তিনগরে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান বিজেপি প্রার্থী। তখনই তিনি যান কাজল সিনহার বাড়িতে। নন্দিতাদেবীকে প্রণাম করে জয় সাহা বলেন, ‘আমি ডোর টু ডোর প্রচারে বেরিয়েছিলাম। ইচ্ছে ছিল, কাজলবাবুর ছবিতে মালা দেব।’ মালা দিয়ে জয় সাহা করজোড়ে তাঁকে বলেন, ‘আশীর্বাদ করবেন, ওঁর অনেক স্বপ্ন আমি যেন পূরণ করতে পারি’। তখন নন্দিতাদেবী বলেন, ‘অবশ্যই, আশীর্বাদ করছি, তুমি যেন ওঁর স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারো।’ পরে নন্দিতা সিনহা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কাউকে বলতে পারি না— আমাদের বাড়িতে আপনি আসবেন না। আমার স্বামীর ছবিতে মালা দিও না। যেকোনও দলের কেউ এলে তাঁকে আপ্যায়ন করা আমাদের কর্তব্য। এটা আমাদের দিদির শিক্ষা। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও এদিন বলেন, প্রার্থী নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি মে মাসে খড়দহ এসেই নন্দিতার কাছে গিয়েছিলাম। ওঁর পাশে আমরা রয়েছি। তিনি ইতিমধ্যে একটা দায়িত্বও পেয়েছেন। কাজলের বাড়িতে জয় সাহা গিয়ে কোনও অন্যায় করেননি। বিজেপি প্রার্থীকে আশীর্বাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নন্দিতা আমাদের দলের নেত্রী। তিনি তাঁর সুস্থতার আশীর্বাদ করতেই পারেন। কিন্তু, জয়ী হওয়ার কথা নিশ্চয় বলবেন না।