গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
চলতি মাসের ১৩ তারিখ জম্মু ও কাশ্মীরে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ধৃতরা প্রত্যেকেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় মোবাইল, ল্যাপটপসহ একাধিক প্রিন্টেড নথি। জানা যায়, এই পাঁচজন পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা জঙ্গিদের কাশ্মীর সহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় থাকার ও তহবিলের ব্যবস্থা করে দিত। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের যোগ থাকায় তাদের জেরা করতে আসে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেখান থেকেই প্রথম হরকত ৩১৩ সম্পর্কে তথ্য মেলে। গোয়েন্দা সংস্থার খবর অনুযায়ী, এই জঙ্গি ইউনিট তৈরি হয়েছে লস্কর-ই-তোইবা, জয়েশ-ই-মহম্মদ, আল বদরের মতো জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে। ঘটনাচক্রে জয়েশ ও লস্করের মূল কার্যালয় পাকিস্তানে। তাই নয়া জঙ্গি সংগঠনের সদর দপ্তরও পাকিস্তানে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।
ধৃত পাঁচজনকে জেরা করে যে তথ্য উঠে আসছে তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ইউনিটের সদস্য সংখ্যা ৫০ জন। বয়স ২০ থেকে ২৫-এর মধ্যে। প্রত্যেকেরই সর্বোচ্চ পর্যায়ের ‘কমান্ডো’ ট্রেনিং রয়েছে। এ কে সিরিজ ছাড়াও স্নাইপার চালাতে প্রশিক্ষিত তারা। নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটাতেও এরা সিদ্ধহস্ত। পাকিস্তানের কোয়েটায় একেবারে কমান্ডোদের ধাঁচে গোটা প্রশিক্ষণ পর্ব চলেছে। নেতৃত্বে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এক শীর্ষকর্তা। প্রশিক্ষণ শেষে ৫০ জনের মধ্যে ৩০ সদস্যকে বাছাই করে আলাদা করে সুইসাইড স্কোয়াডের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। যাতে যে কোনও জায়গায় নৃশংসতম গেরিলা কায়দায় হামলা চালাতে হাত না কাঁপে। সূত্রের খবর, এই ইউনিটের কয়েকজন সদস্য আফগান লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল। এরপর তাদের ফিরিয়ে এনে রাখা হয় পাকিস্তানে। গত কয়েক মাসে তাদের কয়েকজন ভূস্বর্গে প্রবেশ করেছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে এরা। ইউনিটের কাশ্মীরি যুবকদের এই কাজে সবথেকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এতেই ঘুম উড়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির। কারণ, এই জঙ্গি ইউনিট টার্গেট করেছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে। এর পাশাপাশি কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিত ও সেখানে বিভিন্ন সরকারি অফিসে কর্মরতরাও তাদের হিটলিস্টে রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ফলে এই ইউনিটের বিষয়ে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে সমস্ত রাজ্যকে।