বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
করোনা আবহে একাধিক বিধি-নিষেধের মধ্যে দিয়ে এবারের দুর্গাপুজো নির্বিঘ্নেই মিটেছে। উৎসবমুখর বাংলায় মানুষজন আনন্দে মাতোয়ারা। করোনা মোকাবিলায় নতুন পরিবেশে একরাশ অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করেই আগামীর পথচলা শুরু হয়েছে। রাজ্যবাসীকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতি বছরই কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মহালয়ার দিন থেকেই দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু হয় তাঁর। শহর কলকাতার কয়েকটি মণ্ডপে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন জেলার একাধিক প্রান্তে পুজোরও উদ্বোধন হয় মমতার হাতে। বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পুজোর উদ্বোধন করুন—এমনটাই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার পুজো কমিটি। আর এই সূত্রেই ৭ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন বালিগঞ্জের ২১ পল্লি দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে। পুজোপ্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটি ছবিও আঁকেন। মমতা বরাবরই ছবি আঁকতে ভালোবাসেন। সমাজের কথা উঠে আসে তাঁর ছবিতে। ২১ পল্লিতে মমতা আঁকেন দুর্গা। আয়োজকরা স্লেট ও চক পেন্সিলের ব্যবস্থা করে রেখেছিল। তাতেই মমতার হাতের ছোঁয়ায় উঠে আসে দেবী মূর্তি। মমতা বলেন, গণপতি বাপ্পার শুঁড়। তার মধ্যে দিয়ে মায়ের মূর্তি।
আর ছবিতে উঠে আসে বাংলার কথা। মমতা উল্লেখ বলেন, বাংলায় থাকি। তাই বর্ণলিপির ‘অ’ অক্ষর চিত্রিত করা হল। ছবিতে দেখা গিয়েছে, দেবী
মায়ের ত্রিনয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে মমতা এঁকেছেন ‘অ’ অক্ষর। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’ কভার পেজে যে ছবিটি রয়েছে, সেটিই মমতা এঁকেছেন ২১ পল্লিতে।
এবছর পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটিই ছবি এঁকেছেন, ২১ পল্লির দুর্গাপুজোয়। মমতার আঁকা এই ছবিটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে রেখে দেবে বলে জানিয়েছে পুজো কমিটি। সম্পাদক মলয় বিশ্বাসের বক্তব্য, শুধুমাত্র পুজো প্রাঙ্গণে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নয়, তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে মমতার হাতের স্পর্শ। ফলে তিনি নিজ হাতে এঁকে যে ছবিটি আমাদের উপহার দিয়ে গেলেন, তা বাড়তি পাওয়া। পুজো কমিটির অপর কর্মকর্তা অলোক রায়ের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আঁকা ছবিটি আমাদের মধ্যে উৎসাহের সঞ্চার করেছে। পুজো কমিটির সদস্য থেকে পল্লিবাসী, সকলেই আমরা খুব খুশি।
পুজো কমিটির কর্মকর্তা বলেন, স্লেট-চক পেন্সিলে আঁকা ছবিটি যাতে অক্ষত থাকে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চক পেন্সিলটি যাতে নষ্ট হয়ে না যায়, তার জন্য একটি রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হবে। পরে সেটি ফ্রেমে বাঁধানো হবে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আঁকা ছবি ক্যামেরাবন্দি করে তার প্রিন্ট রেখে দেয় পুজো কমিটি।
আগামী বছরও পুজোর উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন, এমনই আশা ২১ পল্লির। তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আলাদা একটি অংশ রয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে, ‘২১ পল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী’।