গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় ঠাকুর গড়ার প্রতি ঝোঁক জন্মায় তাঁর। মাটি দিয়ে তৈরি করেন মূর্তি। একবার সরস্বতী ঠাকুর বানিয়ে সকলকে চমকে দেয় সেদিনের ছোট্ট ভগীরথ। এরপর বনগাঁর বাসিন্দা কালীপদ মণ্ডলের কাছে তাঁর কাজ শেখা শুরু। পড়াশুনা বেশি দূর না এগলেও ঠাকুর তৈরিতে পটু হয়ে ওঠেন তিনি। বর্তমানে বনগাঁর গোবরাপুরে ঠাকুর তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছেন। এখন তাঁর কারখানায় বেশ কয়েকজন কর্মী কাজ করেন। শিল্পী ভগীরথ বলেন, যাকে একবছর ধরে সাজিয়ে তুললাম, তাঁকে কি ছাড়তে মন চায়? মন খারাপ হয়ে যায় বলে মণ্ডপে ঠাকুর দেখেন না শিল্পী। এবছর তাঁকে একপ্রকার জোর করেই দশমীর সকালে মণ্ডপে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরই প্রিয়জনেরা। শিল্পী বলেন, ঠাকুরের মুখগুলি শুকনো লাগছিল। মনে হচ্ছে, আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। বিসর্জনের মন্ত্র পড়তে গিয়ে পুরোহিতের চোখে জল এসে গিয়েছিল। তা দেখে ভগীরথ বলেন, মাত্র ৫ দিন একসঙ্গে থেকে বিদায়বেলায় কেঁদে ফেললেন। আমি তো এক বছর ধরে লালন করলাম। বলতে বলতে তাঁর চোখে জল চলে আসে। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, কীভাবে ক্রেন দিয়ে মাকে টানতে টানতে জলে নিয়ে যান ওঁরা। একটু ভিজিয়েই ওপরে তুলে নেন টানতে টানতে। চারিদিকে ছড়িয়ে থাকে মায়ের চুল, হাত, বিভিন্ন অঙ্গ। এদৃশ্য আমি দেখতে চাই না। তাই তো নিজেকে লুকিয়ে রাখি।