নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সোমবার সল্টলেকে ‘সেক্টর থ্রি’ এলাকার একাধিক গালিপিট, ম্যানহোল পরিষ্কার করতে গিয়ে নাজহাল হলেন পুরকর্মীরা। তার মধ্যে একটি গালিপিট থেকে প্রায় ১২ কেজি প্লাস্টিক উদ্ধার করলেন কর্মীরা। অবস্থা দেখে চক্ষু চড়কগাছ মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তীর। সল্টলেকের মতো পরিকল্পিত শহরের বাসিন্দাদেরও এমন অসহযোগিতা ও অসচেতনতা চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে। পুরসভা সূত্রে খবর, বৃষ্টির পূর্বাভাসের জেরে সল্টলেক সহ ৪১টি ওয়ার্ডেই নিকাশি ব্যবস্থা মসৃণ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে এই কাজ করা হচ্ছে। খাস সল্টলেকের তিনটি সেক্টরে আলাদা আলাদা করে নিকাশি পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুরকর্মী না থাকলেও এজেন্সি মারফত এই কাজ করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর। সেক্টর-১ এ পুরকর্মীরাই এই কাজ করছেন। তবে সেক্টর ২ এবং ৩ এজেন্সির হাতে দেওয়া হয়েছে। এদিন সেক্টর ৩-এর নিকাশি পরিষ্কার করতে গিয়েই অসুবিধার সম্মুখীন হন কর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রতিটি গালিপিট থেকে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিকের বোতল, মদের বোতল, পানমশলা, চিপসের প্যাকেট ইত্যাদি আবর্জনা উদ্ধার করা হয়েছে। এর জন্যই আটকে যাচ্ছে ম্যানহোলগুলি। এই সেক্টরের একটি গালিপিট থেকে প্রায় ১২ কেজি প্লাস্টিকের সামগ্রী উদ্ধার করেন তাঁরা। অজস্র বোতল মেলে। পুরসভা সূত্রে খবর, ওই গালিপিটের মুখের প্রায় পুরোটাই আটকে ছিল। সেগুলি পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গেই গতিতে জল বেরোতে থাকে। এবিষয়ে পুর মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, সল্টলেকের জলমগ্ন অবস্থার জন্য শুধুমাত্র পুরসভাকে দায়ী করা ঠিক হবে না। বাসিন্দাদেরও পুরসভার সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। যত্রতত্র প্লাস্টিকের নোংরা ফেলার ফলে নিকাশি প্রায় বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। এরকম চলতে থাকলে আগামী দিনে সল্টলেকের অবস্থা আরও খারাপ হবে। তিনি বলেন, বাসিন্দাদের আরও সচেতন হতে হবে। সল্টলেক একটি উন্নত ও পরিকল্পিত শহর। সেখানকার নাগরিকদের কাছে আরও একটু সচেতনতা কাম্য। -নিজস্ব চিত্র