গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণপল্লি এলাকায় অভ্রদীপের বাড়ি। বাবা জয়ন্ত আচার্য পুজোপাঠ করেন। মা রূপালিদেবী করেন আয়ার কাজ। পরিবারের একমাত্র ছেলে অভ্রদীপ দমদমের মতিঝিল কলেজে বি. কম. দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। জীবনে প্রথমবার দীঘা যাওয়ার কথা শুনে তিনি একপায়ে খাড়া হয়ে গিয়েছিলেন। মা ও কাকিমার নিষেধ উপেক্ষা করেই পরিচিতদের সঙ্গে শনিবার ভোরে দীঘা রওনা দেন। ধূলাগড়ে তাঁদের গাড়ি খারাপ হলেও তাঁরা ফিরে আসেননি। মধ্যমগ্রাম থেকে আরও একটা গাড়ি নিয়ে শেষপর্যন্ত তাঁরা দীঘায় পৌঁছন।রবিবার বিকেলে সমুদ্রে ছেলের তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েই অঝোরে কেঁদে চলেছেন তাঁর মা। মাঝেমধ্যেই তিনি জ্ঞান হারাচ্ছেন। বাকশক্তিহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর কাকিমা মীরাদেবী বলেন, ওর মা কাজে বেরিয়ে যেতেন, সব আব্দার ছিল আমার কাছে। যেতে অনেকবার বারণ করেছি। কিন্তু কিছুতেই শুনছে না, রাগে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যাওয়ার সময় একবার আমার দিকে তাকিয়ে ঘাড় নেড়ে চলে গেল। সেই শেষ দেখা। কাঁদতে কাঁদতে মীরাদেবীও লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। মধ্যমগ্রামের মেঘদূত মধ্যপাড়ায় দেবর্ষি সিংহের বাড়ি। ছোটবেলাতেই পিতৃহীন। মামার বাড়িতেই মানুষ হন তিনি। ইংরেজিতে অনার্স-সহ সদ্য বি.এ. পাশ করেন। দেবর্ষি ভালো ক্রিকেটও খেলতেন। ভালো ছেলে হিসেবেই তাঁর পরিচিতি। দেবর্ষি কখনও একা বেড়াতে যাননি। মা অপর্ণাদেবী বহুবার বারণ করেন। কিন্তু মায়ের নিষেধ অগ্রাহ্য করে দীঘার টানে ছুটে গিয়েছেন। রবিবার বিকেলে মর্মান্তিক খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মামা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অপর্ণাদেবীও দীঘা বেরিয়ে গিয়েছেন। যাত্রাপথে তিনিও বারবার মূর্ছা গিয়েছেন। এদিন বাড়ির বারান্দায় বসে তাঁর মাসি কৃষ্ণা শিকদার বলেন, সমুদ্রে এত পুলিস, এনডিআরএফের নিরাপত্তার কথা বলা হচ্ছে। এত নজরদারির মধ্যেও তারা কীভাবে তালসারির সমুদ্রে নেমে গেল! চোখের জল মুছে কৃষ্ণাদেবী বলেন, এভাবে ওকে হারাব দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি।