বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই নামখানা এবং ডায়মন্ডহারবারে একটি করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে (এনডিআরএফ) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ঘোড়ামারা, সাগর, মৌসুনি দ্বীপ এবং গোসাবায় একটি করে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এসডিআরএফ) প্রস্তুত রয়েছে। সোমবার বিভিন্ন এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও সিভিল ডিফেন্সের মহড়াও শুরু হয়। এদিন সকালে উপকূলের বেশকিছু জায়গায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। তাই বেশি সময় নষ্ট না করে কাকদ্বীপ মহকুমায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে আরও মানুষকে সরানো হতে পারে আজ, মঙ্গলবার। নামখানা ব্লকের মৌসুনি, ফ্রেজারগঞ্জ, ঈশ্বরীপুর প্রভৃতি এলাকা থেকে প্রায় ১০ হাজার গ্রামবাসীকে সরানো হয়েছে। কাকদ্বীপ থেকে সাড়ে আট হাজার, সাগর থেকেও সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষকে সরাতে হয়েছে।
এদিন রাতে ঘোড়ামারা দ্বীপের চুনপুরি, হাটখোলা ও খাসিমারা এলাকার বাঁধের ধার থেকে হাজার খানেক বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্যানিং মহকুমার বাসন্তী বা ক্যানিং-১ ব্লকে এখনও সেভাবে মানুষকে সরাতে হয়নি। আজ, আবহাওয়া বুঝে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্লকের কর্তারা। তবে গোসাবা ও ক্যানিং-২ ব্লক থেকে তিন হাজারের বেশি বাসিন্দাকে সরাতে হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলা নিয়ে জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত জেলা শাসকদের। প্রত্যেক বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার, জল, ত্রিপল ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখা হচ্ছে।
এদিকে দুর্যোগ নেমে আসতে পারে বলে যেসব জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে, সেখানে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে একজন করে শীর্ষ আমলাকে নিযুক্ত করল নবান্ন। যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পৃথা সরকারকে। কৃষিদপ্তরের সচিব ওঙ্কার সিং মীনাকে উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইভাবে হাওড়া ও হুগলিতে যথাক্রমে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন এবং দমকল দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মনোজ আগ্রওয়ালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।