বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রাথমিক তদন্তে আলিপুর থানার পুলিস জানতে পেরেছে, ১৭/৭, ডি এল খান রোডে বিদ্যাসাগর কলোনির পুকুরে রোজকার মতো মাছকে খাবার দিতে এসেছিল দুই কিশোর। কিন্তু বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হয়েছিল পুকুরপাড়। ফলে পা হড়কে আচমকাই পুকুরে পড়ে যায় রাজ। বন্ধুকে উদ্ধার করতে ওই অবস্থাতেই ঝাঁপ দেয় রমেন্দ্র। কিন্তু দু’জনের কেউই সাঁতার জানত না। ফলে পুকুরে হাবুডুবু খেতে থাকে তারা। ঘটনাচক্রে স্থানীয় এক মহিলা ওই পুকুরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তাদের ডুবতে দেখে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তখন তিনি চিৎকার করলে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে আসেন।
খবর পেয়ে আলিপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। পাশাপাশি, উদ্ধারকাজে নামানো হয় দমকল এবং কলকাতা পুলিসের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের (ডিএমজি) ডুবুরিদের। প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় দুই কিশোরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তড়িঘড়ি তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তরতাজা দুই কিশোরের মৃত্যুতে গোটা এলাকা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে।
সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতার কসবা থানা এলাকায় পুকুরে ডুবে একাধিক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিস তদন্ত করে জানতে পেরেছে, পুকুরের চারপাশ ঘেরা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে পুকুরগুলিকে ঘেরার ব্যবস্থা করা হোক। শুধু কসবা নয়, এর আগে ইডেন গার্ডেন্স পার্ক ও ইকো পার্কের পুকুরে একই ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছিল।