রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এদিন যদুবাবুর বাজার ও ৭৩ নম্বর ব্লকের দু’টি নির্বাচনী সভাতেই তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত বাঁচাতে মমতার এই লড়াইয়ে ভবানীপুরবাসীও সঙ্গী হবেন—এই বার্তা উঠে এসেছে সভা থেকে। এমনকী মমতার লিখিত বার্তা পৌঁছে গিয়েছে ভবানীপুরের ঘরে ঘরে। শুধুমাত্র বাংলার উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নয়, তৃণমূলের লক্ষ্য বিজেপির হাত থেকে দেশকে উদ্ধার। তাই মমতাও বলেছেন, ‘দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে বিজেপি। তাই দেশ থেকে বিজেপিকে হটাতে হবে।’ মমতার পাশে বসে অভিষেকও উল্লেখ করেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জেতালে ভারত বাঁচবে না। তিনিই পারেন মোদিকে হারাতে।’
মমতা তাঁর নির্বাচনী সভায় একদিকে তুলে ধরেছেন তাঁর সরকারের উন্নয়ন, অন্যদিকে তথ্য তুলে ধরেছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির দুরবস্থার। অসমে মৃতদেহ নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তাকে ‘ড্যান্সিং ড্রাগন’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয়েছেন। ডাক দিয়েছেন, জাত-পাত-ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে, সকলকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের। আর তার সূচনা ‘ঘরের মাঠ’ থেকেই করতে চাইছেন নেত্রী। প্রসঙ্গ টেনেছেন কংগ্রেস-বিজেপি আঁতাতের। স্পষ্ট বলেছেন, ‘অনেকে ভয় পায়। তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পায় না। দেশের সর্বত্র যাব। লড়াই করব।’ সেই লড়াই বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে। রোমের আমন্ত্রণে বাধা হয়েছে কেন্দ্র। সেই অভিযোগ তুলে মমতা বলেছেন, ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে রোমে যাওয়ার ছাড়পত্র দেয়নি। কিন্তু ভবানীপুর থেকেই শান্তির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি।’