কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কয়লা কাণ্ডে তদন্তের জন্য এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) ইতিমধ্যেই অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আরও নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই দেখা গিয়েছে, ইডি অনেক বেশি তৎপর। তবে ইডির ‘অতি সক্রিয়তা’র পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার ভবানীপুরের নির্বাচনী সভায় দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইডি পাঁচটি নোটিস পাঠিয়েছে, ৫০০ নোটিস পাঠালেও মেরুদণ্ড বিক্রি করব না। এমনকী, গলা কেটে দিলেও ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, জয় বাংলা’-ই উচ্চারিত হবে।
এই মঞ্চ থেকেই বিজেপির উদ্দেশে আঙুল উঁচিয়ে অভিষেকের হুঙ্কার, গায়ের যত জোর আছে প্রয়োগ করো কিন্তু আত্মসমর্পণ করব না।
অর্থাৎ অভিষেক এই বার্তাই পৌঁছে দিয়েছেন যে, বিজেপি তাঁকে যত দমাবার চেষ্টা করুক না কেন, তিনি কোনও অবস্থাতেই হার মানবেন না। লড়াই করে যাবেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ধমকে-চমকে কোনও লাভ হবে না।ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী করার ডাক নির্বাচনী জনসভা থেকে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বিজেপির জমানত জব্দ হবে বলেও দাবি করেন তিনি। আগামীর লক্ষ্যের কথাও উঠে এসেছে তাঁর বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, ভবানীপুরকে প্রমাণ করতে হবে, নিজের মেয়েকেই চায়। আর দিল্লিতেও পরিবর্তন আনতে হবে। আগামী দিন দিল্লিতে পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেবে, ভবানীপুর থেকেই তার সূচনা হবে। কিন্তু ভবানীপুরকে ভাটপাড়া হতে দেব না কখনওই।
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে পুরোদস্তুর ময়দানে নেমে পড়েছেন অভিষেক। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরাতে তৃণমূলের সাংগঠনিক বিস্তার ঘটেছে। অসম, গোয়া সহ অন্য রাজ্যগুলিতে তৃণমূল পা ফেলছে। এখানেই অভিষেক বলেছেন, দেশের সব রাজ্যে যাব। বিজেপির যত ক্ষমতা আছে পারলে আটকাক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বুকে নিয়ে লড়াই করব। সেই রাজ্য ছিনিয়ে নিয়ে আসব এবং জোড়াফুল ফোটাব।
এদিন যদুবাবুর বাজার ও কালীঘাটে নির্বাচনী সভা করেন অভিষেক। দুটি সভাতেই তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিল বিজেপি। দেশে ১৭০০ রাজনৈতিক দল রয়েছে। সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল হাতেগোনা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসকে কেন বারবার বিজেপি আক্রমণ করছে? তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেছেন, যখন বিজেপি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না, তখন এজেন্সিকে ব্যবহার করছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস বিশুদ্ধ লোহা, যত আঘাত করবে তত মজবুত হবে। বিজেপি নেতাদের উদ্দেশে অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, মোদির উন্নয়ন রিপোর্ট কার্ড আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আলোচনা হোক। বিজেপিকে ১০ গোল দিতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।