বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাম আমলে তন্তুজের মতো সংস্থা ধুঁকছিল। ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে তন্তুজের উপর বিশেষ নজর দেন। দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে চলা ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরে প্রথম লাভের মুখ দেখে তন্তুজ। ২০১৫ সালের তন্তুজ ভবনের ষষ্ঠতলায় ‘স্টেট ডিজাইন সেন্টার’ তৈরি হয়। যেখানে নতুন নতুন ডিজাইন তৈরির কাজ হয়। তার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তন্তুজের ৮৪টি শোরুম রয়েছে। অনলাইনেও বিক্রির সুবিধা রয়েছে। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে অনলাইনে বিক্রি করে দু’কোটি টাকা আয় হয়। এ বছর আরও বাড়বে বলে আশাবাদী তন্তুজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালে মার্কেটিং অব হ্যান্ডলুম প্রোডাক্টস বিভাগে প্রথম ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পায় তন্তুজ। হারিয়ে যাওয়া বালুচরী, জামদানির সুক্ষ্মকাজ শুরু করে তন্তুজ। অন্তত ১০ রকমের ডিজাইন করে তারা। যার খুবই চাহিদা রয়েছে এবং প্রশংসিত হয়। গত ১০ বছর তন্তুজের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সামলেছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রখ্যাত শিল্পীদের নিয়ে এসে ডিজাইনের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে, এটি তারই সুফল।
২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে মাস্ক, পিপিই কিট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাজের দায়িত্ব দেয় তন্তুজকে। মাস্ক ও পিপিই কিট তৈরি এবং সংগ্রহ করে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরকে সরবরাহ করার জন্য গত বছর ‘স্কচ প্লাটিনাম অ্যাওয়ার্ড’ পায় তন্তুজ। এবার ফের বস্ত্রমন্ত্রক ডিজাইনের জন্য জাতীয় পুরস্কার দিয়ে তন্তুজকে সম্মানিত করল। যাতে খুবই খুশি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবীন্দ্রনাথ রায় এবং ওই সংস্থা কর্মী-তন্তুবায় শিল্পী। তাঁদের মতে, এই পুরষ্কারপ্রাপ্তি শিল্পীদের আরও উৎসাহিত করবে।