গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কলকাতা পুরসভা চালু রাখছে কন্ট্রোল রুম। ৭৭টি পাম্পিং স্টেশন চালু থাকছে। বাতিল করা হয়েছে কর্মীদের ছুটি। সংযুক্ত এলাকার একাধিক এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। সেখানে যতটা সম্ভব দ্রুত জল নামানো যায়, তার জন্য বাড়তি ৩৫০টি পোর্টেবল পাম্প রাখা হচ্ছে। ২৫২টি পুর-স্কুলে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খুলছে পুরসভা। দুর্যোগ চলাকালীন সেখানে বস্তিবাসী কিংবা পুরনো বিপজ্জনক বাড়ির বাসিন্দাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে, শহর ও শহরতলির নিকাশি নালাগুলির সংষ্কার না হলে জমা জলের সমস্যা দূর হবে না বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, এত বৃষ্টি গত ৩০ বছরে হয়নি। ফলে সেই অনুসারে নিকাশি পরিকল্পনাও করা নেই। এখন মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে। নতুন করে পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে। তবে, নিকাশি খালগুলি ড্রেজিং হলে অনেকটাই জমা জলের সমস্যা মিটবে। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং মুখ্যসচিবকে ফের চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি, পূর্ব ও সংযুক্ত কলকাতায় অপরিকল্পিতভবে নগরায়ণও জমা জলের ভোগান্তি বাড়িয়েছে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে নয়াবাঁধ, মুকুন্দপুর, গড়িয়া, ব্রহ্মপুর, জোকা সহ বিভিন্ন এলাকায় সঠিক নিকাশি ব্যবস্থা না থাকলেও সেখানে বড় বড় আবাসন তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ বলেন, বাম আমলে এমন করা হয়েছে। তারপরেও কেউ সঠিকভাবে নজর দেয়নি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্দেশ দিয়েছি, নিকাশি ব্যবস্থা কোনও এলাকায় না থাকলে, সেখানে বাড়ি কিংবা সুউচ্চ আবাসন বানানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।
বিভাগীয় কর্তাদের দাবি, বাইপাসের ধারে বহু জায়গাতেই নিকাশির মুখে একাধিক আবাসন গড়ে উঠেছে। জলাজমি বুজিয়ে পর পর প্লট বানিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু, সঠিকভাবে ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি করা হয়নি। তাই এই অবস্থা। অনেক জায়গাতেই নতুন করে নিকাশি বানাতে হবে।
এবার অনেক বেশি সচেতন এনকেডিএ। ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বেশি সংখ্যায় পাম্প লাগানো হয়েছে। পানীয় জলের গাড়ি, ভ্রাম্যমাণ জেনারেটর মজুত রাখা হচ্ছে। জলাধারগুলি ক্লোরিন দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে দপ্তর। এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, নতুন করে যাতে আর জল না জমে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিধাননগর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তিনি বলেন, পাম্পিং স্টেশনগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য পুরকর্মীরা তৈরি। এনডিআরএফও তৈরি । তবে, রাস্তায় নোংরা প্লাস্টিক, বোতল ইত্যাদি ফেলে দিচ্ছেন নাগরিকরা। বালি, সিমেন্ট, সুরকি পড়ে থাকার জন্যও নিকাশির মুখগুলি অবরুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকাতেও আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিশোরী মৃত্যুর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সমস্ত লাইটপোস্টের অবস্থা খতিয়ে দেখা হয়েছে। তার বিস্তারিত রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে।