পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মাছের মড়ক লাগায় রবীন্দ্র সরোবরে টিম পাঠায় কেএমডিএ। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও বিষয়টিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে জলের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে। অনুমান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আকাশ কার্যত মেঘাচ্ছন্ন জলজ উদ্ভিদগুলি সূর্যের আলো পায়নি। ফলে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে সালোকসংশ্লেষ। ফলে স্বাভাবিক কারণেই জলে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়েছে। পাশাপাশি জলকে দূষিত করছে পাখিদের বিষ্ঠা। এই জোড়া ফলার কারণেই মড়ক লেগেছে সরোবরের মাছ-সাম্রাজ্যে।
তথ্য বলছে, রবীন্দ্র সরোবরে শেষবার এভাবে মাছ মরেছিল ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি। মাঝে ২০১৮ সালে ছটপুজোর পর কিছু মাছ মরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তবে তা মড়কের পর্যায়ে পৌঁছয়নি। এই সমস্যা থেকে মাছকে বাঁচাতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে এরেটর বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেএমডিএ’র সিইও অন্তরা আচার্য বলেছেন, এই যন্ত্র অর্থাৎ চাকাটি জলের মধ্যে অনবরত ঘুরবে। যা জলে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি সরোবরের ভিতরে যে ফোয়ারাটি বন্ধ অবস্থায় রয়েছে, সেটিও চালানো হবে। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেছেন, এর ফলে জলের বিভিন্ন স্তরেই অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে। তবে অন্তত ৩০-৪০ মিটার অন্তর একটি করে এমন যন্ত্র বসাতে হবে। আমরা ইতিমধ্যেই রবীন্দ্র সরোবরে বেশ কয়েকটি এমন যন্ত্র বসানোর পরামর্শ দিয়েছি।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রবীন্দ্র সরোবর মর্নিং ওয়াকার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক তথা পরিবেশকর্মী সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ। তবে তাঁর অভিযোগ, তুমুল বৃষ্টিতে সরোবর উপচে জল এসে মিশেছে রাস্তার নিকাশি নালার সঙ্গে। দূষণ ছড়াতে পারে তা থেকেও। সরোবরের ধারে জমে থাকে আবর্জনা। সেইসব নোংরাও এসে মিশছে সরোবরের জলে। সব মিলিয়েই বিষক্রিয়ার কারণে মাছ মরে গিয়েছে।