কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সাগরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তা জেলার সর্বত্র হয়নি। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের মতে, একটি বা দু’টি জায়গায় বৃষ্টির হার ছিল সবচেয়ে বেশি। কেন এমন ধারণা? তাঁদের যুক্তি, সর্বত্র একই পরিমাণ বৃষ্টি হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতো। এখনও অবধি মাত্র এক হাজার হেক্টর জমিতে জল ঢোকার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাছাড়া সাগরদ্বীপের যে জায়গায় টর্নেডোর প্রভাব পড়েছিল, সেখানে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে এই বর্ষায় এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের রেকর্ড গড়েছে গোসাবার মন্মথপুর। এদিকে, মাছ এবং চাষের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, সাড়ে তিন হাজার হেক্টর পুকুর অথবা জলাশয় বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে অনেক মাছ রাস্তায় ডাঙায় উঠে এসেছে বা অন্য জলাশয়ে চলে গিয়েছে। যেমন সোনারপুরে এই সমস্যা প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে। সেখানে ভেড়ির মাছ উঠে এসেছে রাস্তায়। ফলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। তাঁরা বাধ্য হয়েছেন ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে সেই মাছ বিক্রি করতে। একইভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে সব্জি চাষেও বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে খবর, সব্জির বহু জমি ডুবে গিয়েছে।এদিকে, প্রবল বৃষ্টির কারণে নামখানা এবং গোসাবার উপকূলবর্তী এলাকায় নদীবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। যশ পরবর্তী অধ্যায়ে বাঁধে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা না শুকনোয় নয় গত কয়েক সপ্তাহের বৃষ্টিতে তা অনেকটাই ধুয়ে গিয়েছে। এদিকে, আর কয়েকদিন বাদেই আরও একটি কোটাল রয়েছে। তাতে ফের বিপর্যয় ঘনাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে কথা মাথায় রেখেই এই দু’টি ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গোসাবার বিডিও এবং অন্যান্য আধিকারিকরা দুর্বল বাঁধগুলি পরিদর্শন করেছেন। অন্যদিকে, নামখানার বিডিও জানিয়েছেন, বৃষ্টি থামলেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলি মেরামতির কাজ শুরু করা হবে।