দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের একাধিক ওয়ার্ড এখনও জলের তলায়। দাশনগর, কাশীপুর, টিকিয়াপাড়া, সিটিআই, পঞ্চাননতলা রোড সহ উত্তর হাওড়ার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, বালি, বেলুড়, লিলুয়ায় বহু রাস্তা এদিনও জল থই থই চেহারায়। এখনও জলের তলায় ১, ২, ৬, ৯, ৪৫, ৫০, ১৯, ২০-র মত ওয়ার্ড। এলাকাগুলিতে সারাদিন পাম্প চললেও বিশেষ উন্নতি হয়নি। জল নিষ্কাশনে পুরসভার তরফে মোট ৪০টি পাম্প চালানো হয় সারাদিন। এছাড়া বিকেলের দিকে খুলে দেওয়া হয় শহরের চারটি লকগেট। যে সমস্ত ওয়ার্ডে নিকাশির অবস্থা খুবই খারাপ, সেখানে এমনকী সেস পুল ভ্যানের সাহায্যে জল তুলে গঙ্গায় ফেলার ব্যবস্থা করা হয়। এবিষয়ে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, আমাদের ১০টি পাম্প হাউস ছাড়াও আরও ২৫টি পাম্প চালানো হচ্ছে। এছাড়াও ৫টি পোর্টেবল পাম্প ব্যবহার হচ্ছে। লকগেটগুলি দিয়ে জল বার করার বিশেষ চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া ম্যানহোলগুলিকেও খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি নতুন করে না হলে আশা করা যায় দ্রুত জল বের করে দেওয়া সম্ভব হবে। আমরা সেস পুল ভ্যানকেও কাজে লাগাচ্ছি যাতে নিকাশি নালা ছাড়াও কিছু নিচু জায়গা থেকে জল দ্রুত বের করে দেওয়া যায়।
উল্লেখ্য, পুর এলাকা ছাড়াও হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনে এদিনও জল জমে ছিল। টিকিয়াপাড়া কারশেডে ট্র্যাক এদিনও জলের তলায়। এজন্য বেশ কিছু ট্রেনের সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়। শালিমার স্টেশনে সরিয়ে দেওয়া হয় কিছু ট্রেনকে।
এদিকে, মঙ্গলবার অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে হুগলির সর্বত্রই। তবে বিক্ষিপ্তভাবে জল রয়েছে বেশ কিছু এলাকায়। শ্রীরামপুর পুরসভার বেশ কিছু ওয়ার্ড, ডানকুনি পুরসভা এলাকার স্টেশনপল্লি, রিষড়া গ্রামীণ এলাকা সহ একাধিক জায়গায় জমা জলে দুর্ভোগ অব্যাহত থেকেছে এদিনও। এছাড়াও উত্তরপাড়া পুরসভার বেশ কিছু এলাকাতেও জল নামেনি। এদিন শ্রীরামপুর ধোবি ঘাট সংলগ্ন একটি আবাসনের পাঁচিল ভেঙে গঙ্গার গ্রাসে চলে যায়। সেই আবাসনেই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট।