রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম রাজা দাস (৩৫), স্ত্রী পৌলমী দাস (২৯) এবং ছেলে শুভ দাস (১১)। রাজা পেশায় গাড়ির চালক। একটির এজেন্সির হয়ে তিনি গাড়ি চালাতেন। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, শুভ তাঁদের বড় ছেলে। সে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ত। তাঁদের ছোট ছেলের নাম তিয়ান ওরফে আবির। সে খাটের উপরে বসেছিল। তিনজনকে উদ্ধার করে খড়দহের বলরাম হাসপাতাল হয়ে বারাকপুরের বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিএন বসু হাসপাতালের সুপার ডঃ সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ব্রডডেথ অবস্থায় তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছিল।
কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্লাগের স্যুইচ অন করতে গিয়ে প্রথমে স্বামী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তখন রান্নাঘরে ছিলেন স্ত্রী। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। একইভাবে বাবা-মাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তাঁদের বড় ছেলে। তিনজনই মারা যান। তিয়ানদের প্রতিবেশী দাদু সুভাষ দেবনাথ বলেন, ওদের চার বছরের ছোট্ট ছেলেটা খাটের উপর বসে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করছিল—দাদু তাড়াতাড়ি এস। আমার বাবা, মা, দাদা জলে পড়ে আছে! আমি দৌড়ে যায়। কী করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তিনজনকেই জড়িয়ে ধরি। তখন আমার মাথায় কিছু ছিল না। আমিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যেতাম। আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিসের অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁরা পড়ে যাওয়ার পর বিদ্যুতের চেনটি কেটে যায়। তার ফলেই উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। তা নাহলে আরও বড় বিপদ হতে পারত। বারাকপুরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার আশিস মৌর্য বলেন, ঘরে জল ছিল। স্যুইচ অন করতে গিয়েই এই মর্মান্তিক ঘটনা। পুরো বিষয়টি দেখা হচ্ছে।