পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কলকাতার ৭০নং ওয়ার্ডের এই ‘মল্লিক বাড়ি’তেই থাকেন বাংলা চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের পরিবার। হয় বিখ্যাত দুর্গাপুজোও। সেই বাড়ির ঠিক সামনের ফুটপাতের একটি বড় গাছে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাপ্রবাহ বলেছে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কোনওভাবে কুকুরের তাড়ায় ভয় পেয়ে ছোট্ট বিড়ালটি সামনের গাছের বেশ উঁচু একটি ডালে উঠে পড়ে। তারপর থেকে আর নামতে পারছিল না। চিৎকার করে যাচ্ছিল ঘন ঘন। বেলা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়ে খিদের জ্বালাও। তাল মিলিয়ে বাড়ে খুদে প্রাণীর চিৎকারও। ঘরে ছোট্ট পোষ্যকে দেখতে না পেয়ে শুরু হয় খোঁজ। খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায় সে গাছের ডালে উঠে পড়েছে। নামার আপ্রাণ চেষ্টা করেও পারছে না। এই অবস্থায় স্থানীয় ভবানীপুর থানা, দমকাল, এমনকী এনজিওতে ফোন করেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে জনপ্রতিনিধির কাছে ফোন যায়। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অসীম বসু বলেন, ‘আমার কাছে যখন ফোন আসে, তখন আমি একটু অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম। দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে যাই। এলাকায় গাছ কাটার জন্য পুরসভার একটি গাড়ি এসেছিল। সেই গাড়িটি কাজে লাগিয়ে পুরকর্মীদের সহায়তায় বিড়ালের বাচ্চাটিকে গাছ থেকে নামাই। তারপর মল্লিক পরিবারের এক সদস্য রাধারানি মল্লিকের হাতে তুলে দিয়েছি।’
চলচি সময়ে দিন দিন তলানিতে ঠেকেছে মানবিকতা। অহরহ খুন খারাপির খবর মেলে। জমা জলে ভোগান্তির শেষ নেই। এই পরিস্থিতিতে এমন ‘মানবিক’ ঘটনা কিছুটা হলেও অনন্য। অসীম বসুর কথায়, ‘ ‘মান’ আর ‘হুশ’ নিয়েই তো মানুষ। ওরা অবলা জীব। একজন জনপ্রতিনিধি নয়। মনুষ্যত্ব্যের জায়গা থেকে কাজটি করেছি।’