বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তদন্তকারী অফিসাররা বলেন, ৪ জুলাই সোনারপুরের এক প্রবীণ বাসিন্দা অরুণকুমার দাস এটিএম কার্ড প্রতারণার শিকার হন। তিনি থানায় অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমেই এই অভিযুক্তের সন্ধান পায় পুলিস। শুধু এটিএম কার্ড হাতানোই নয়, টাকা খুচরো করে দেওয়ার নাম করে এই অভিযুক্ত বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়েও নিত। নতুবা কোনও অছিলায় কারুর টাকা রাস্তায় পড়ে গিয়েছে বলে তাঁকে অন্যমনস্ক করে দিয়ে সেই সুযোগেও ওই ব্যক্তির টাকা নিয়ে চম্পট দিত অভিযুক্ত। পুলিস অফিসার আরও বলেন, এটিএম কার্ড হাতানোর ক্ষেত্রে মূলত বয়স্ক লোকদের টার্গেট করা হতো। লক্ষ্য রাখত বয়স্ক ব্যক্তিরা ঠিকভাবে কার্ডটা অপারেট করতে পারছে কি না। যখন কেউ অসুবিধায় পড়তেন, তখন অভিযুক্ত এটিএম কাউন্টারে ঢুকত। বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে গল্পের অছিলায় তাঁর পিন নম্বর জেনে নিয়ে এটিএম কার্ডটা হাতিয়ে একই ব্যাঙ্কের সেম সাইজের নকল এটিএম কার্ড তাঁকে ধরিয়ে দিত। এরপরে আসল এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তুলে গায়েব হয়ে যেত। আর এর জন্য নিরাপত্তারক্ষীবিহীন এটিএম কাউন্টারই এদের পছন্দ। শুধু এই অভিযুক্ত নয়, এই দলে চার থেকে পাঁচজন আছে বলে জানা গিয়েছে। এরা সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর, বারুইপুর সহ কলকাতা থানা এলাকাতেও অপারেশন চালাত। এইভাবেই একের পর এক এটিএম কার্ড হাতিয়ে লক্ষাধিক টাকা লাভ করত তারা। পুলিস অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পেরেছে এই দলের মূল মাথা সোনারপুরে আগে ধরা পড়েছিল। এই অভিযুক্ত তারই সঙ্গী। পুলিস এই দলের আরও দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে।