কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মেয়ে নিখোঁজ বলে ২০১৫ সালের ২ জুলাই জয়নগর থানায় অভিযোগ করেছিলেন আলাউদ্দিন মিস্ত্রি। ওই মামলায় পুলিস রাজু ওরফে মোশারফ মিস্ত্রিকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট দেয়। ওই বছরেই মুম্বইয়ের এক যৌনপল্লি থেকে তুলিং থানার পুলিস তাকে উদ্ধার করে। তার ঠাঁই হয় কান্দিভ্যালির বৈশর হোমে। সেখানে মামলা চলাকালীন আদালতের নির্দেশে ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
পশ্চিমবঙ্গে আছে ভিক্টিম কমপেনসেশন স্কিম। এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা এই প্রকল্পের নিয়ম মেনে আবেদন করলে, তা বিচার করে আর্থিক সাহায্য করা হয়। সেইমতো ২০১৭ সালের ১০ জুলাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির কাছে সে সাড়ে ছ’ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন জানায়। দু’বছর পর ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর তাকে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, তারপর প্রায় এক বছর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও, সেই টাকা সে পায়নি। ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর সে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানায়, তার যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া আছে, সেখানে আজও ওই টাকা আসেনি।
এই পরিপ্রেক্ষিতে তার দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ বরাদ্দ হওয়ার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই করোনার জেরে লকডাউন শুরু হয়। এসেছিল সাইক্লোন উম-পুন আর যশ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আর অসহনীয় পরিস্থিতি সহ্য করতে হচ্ছে। বেঁচে থাকাটাই গুরুতর প্রশ্নের মুখে। কিন্তু, কিছুতেই অবস্থার বদল ঘটছে না। সেই মামলায় সালসা তার ফান্ড তথা আর্থিক ভাঁড়ারের করুণ দশার কথা জানালে, রাজ্যের তরফে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার জন্য সময় চাওয়া হয়। ১০ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।