কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
১ ও ২ আগস্ট বাঁধের জল ছেড়ে দেওয়া ও বৃষ্টির জেরে হুগলি জেলাজুড়ে সঙ্কট তৈরি হয়। প্রাথমিক হিসেব অনুসারে, জেলার ১৪টি ব্লক—আরামবাগ, চণ্ডীতলা-১ ও ২, গোঘাট-১ ও ২, জাঙ্গিপাড়া, খানাকুল-১ ও ২, শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া, বলাগড়, পুরশুড়া, তারকেশ্বর, হরিপাল, ধনেখালি ক্ষতির মুখে পড়েছে। শ্রীরামপুর ও আরামবাগ পুরসভাও ক্ষতির মুখে। জেলা প্রশাসনের হিসেব মতো, সারা জেলার ৩৪৫টি গ্রাম ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। প্রায় ১২০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এরসঙ্গেই ক্ষতির মুখে পড়েছে জেলার কৃষি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ৩৪ হাজার ৩৪৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর জেরে প্রায় ৪৪২৬৬.২৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে। কৃষির সঙ্গে ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্যচাষ। মোট ৬১৮ হেক্টর জলাভূমি ক্ষতির আওতায়। মূলত আরামবাগ মহকুমা সঙ্গে জাঙ্গিপাড়া ও শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকে এই ক্ষতি হয়েছে। সার্বিকভাবে মাছচাষের ক্ষতি হয়েছে ৮৫৩.১০ লক্ষ টাকার। মোট ৮৫৩১০০ কেজি মাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি, একটি স্কুলবাড়ি ও একাধিক বাঁধের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, খানাকুল-২ ব্লকের বলাইচক ও রঞ্জিতবাটি, জাঙ্গিপাড়ার মোড়হাল দুর্গাপাড়া, হরিহরপুর, চিটঘোলা, সিংটি, দাফরচক সহ ৭টি বাঁধ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এছাড়াও রূপনারায়ণ ও দারকেশ্বরের উপরে একাধিক বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর জেরে খানাকুল-১ ও ২ ব্লকের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যাপ্ত কর্মী ও ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সরকারি হিসেব মতো ২ আগস্ট পর্যন্ত ১১ হাজার ত্রিপল, ৭০ মেট্রিক টন চাল, ১০ মেট্রিক টন শুকনো খাবার, ৩ হাজার বেবিফুডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জলবাহিত রোগ সামাল দিতে বিশেষ ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দেড় লক্ষ পাউচ প্যাকে জল বিলি করা হয়েছে। প্রায় ৫০টি মেডিক্যাল টিম তৈরি করে বিপর্যস্ত এলাকা ও ত্রাণশিবিরে চিকিৎসা পরিষেবাও দেওয়া হয়েছে।