বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন সেচমন্ত্রী বলেন, বন্যায় হাওড়া জেলার দু’টি ব্লক ক্ষতিগ্রস্ত। এবারের বৃষ্টি ৯৩ সালের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এই বিপত্তি। সেচমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ভিভিসির বাঁধগুলিকে সংস্কার করার কথা বারবার বলা হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে ধীরে ধীরে জল ছাড়তে। কিন্তু তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত না করায় বাংলার ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকে, ডিভিসির জল ছাড়া অব্যাহত থাকায় আমতা ২ নং ব্লকের পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। সোমবার ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত জলমগ্ন হওয়ার পর মঙ্গলবার ঝামটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের আশঙ্কা, ডিভিসি যেভাবে জল ছাড়ছে তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আমতা ২ নং ব্লকের ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৮টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে। ইতিমধ্যে ৩৫০০ বাসিন্দাকে ১৫টি জায়গায় সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
সোমবার রাত থেকেই আমতা জয়পুর ও আমতা উদয়নারায়ণপুর রাজ্য সড়কের উপর এক মানুষ সমান জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ থেকে নিত্যযাত্রীরা। কেউ কলার ভেলা চেপে, আবার কেউ সালতিতে চেপে যাতায়াত করছেন। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, সোমবার রাত থেকেই বিভিন্ন গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। আর মঙ্গলবার সকালে জলের স্তর একতলা বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। ২০১৭ সালের পর এইরকম পরিস্থিতি হল। তবে যদি ডিভিসি আরও জল ছাড়ে, তাহলে দুর্ভোগও আরও বাড়বে। তবে জলের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় দীপাঞ্চল ভাটোরা ও ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনানের পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দুর্গত এলাকায় পৌঁছেছে। পাশাপাশি, মঙ্গলবার এক কোম্পানি এনডিআরএফ নামানো হয়েছে। এছাড়া উদয়নারায়ণপুর ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ১ লক্ষ ৫৩ হাজার মানুষ জলবন্দি। ইতিমধ্যে ২৯টি ত্রাণশিবিরে ৭৫০০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।