গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, একাধিক মহিলার সঙ্গে অশ্লীল ভিডিও শ্যুটে অভিনয় করত স্নেহাশিস। বছরখানেক ধরে এই ধরনের ভিডিও শ্যুটে নন্দিতা-মৈনাকদের সঙ্গে কাজ করছে সে। জানা গিয়েছে, আগে একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলে একটি তদন্তমূলক ধারাবাহিকে অভিনয় করত পর্ন কাণ্ডে অভিযুক্ত এই স্নেহাশিস। অভিনয় সূত্রেই তার সঙ্গে যোগাযোগ হয় অশ্লীল ভিডিও-র দুই পরিচালকের। তারপরই নন্দিতা-মৈনাকের তরফ থেকে প্রোমোশনাল ভিডিও শ্যুটের প্রস্তাব দেওয়া হয় তাকে। তাতে সম্মতি জানায় নায়ক। এরপরেই সে নানাভাবে অশ্লীল ভিডিও শ্যুটে জড়িয়ে পড়ে বলে পুলিস সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, প্রতিটি ভিডিও শ্যুটের বিনিময়ে পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা করে পেত স্নেহাশিস। নগ্ন ভিডিও শ্যুটের জন্য দেহের গঠন দেখে তরুণীদের বাছাই করা হতো বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে শাড়ি বা চুড়িদার পরিয়ে শুটিং ফ্লোরে আনা হতো মহিলাদের। নায়ক প্রবেশ করত পরে। তারপরই ‘ক্ল্যাইম্যাক্স’।
অন্যদিকে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পর আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে পেরেছেন, নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলে যে রোমান্টিক দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের জন্য তরুণীকে ডাকা হয়েছিল, তাতে স্নেহাশিসই নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছিল। তরুণীর অভিযোগ, রোমান্টিক দৃশ্যের বদলে হোটেলের আটতলার একটি ঘরে নগ্ন ভিডিও তোলা হয়েছিল। সেই ভিডিওতে এই অভিযুক্ত দেখা গিয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। সেই কারণেই তাকে ট্র্যাক করতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। শেষমেশ, দমদম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তবে তাকে পুলিসি হেফাজতে নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, নন্দিতাকেও বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। তবে মৈনাক ও শুভঙ্করকে জেল হেফাজতে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে নিউটাউন থানার পুলিস।