পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ রেল গেট সংলগ্ন একটি মিষ্টির দোকানের সামনে থাকা বারুইপুরগামী অটোতে বসেছিলেন প্রভাসবাবু। প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, আচমকাই এক যুবক খুব কাছ থেকে প্রভাসবাবুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ শুনে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই বাজার এলাকায়। অটোর মধ্যে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন ওই যুবক। আশপাশের ব্যবসায়ীরা পুলিসকে খবর দেন। ওই বাজারেই আহত ব্যক্তির ভাইপোর দোকান আছে। তিনি খবর পেয়ে ছুটে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে আহতকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে এভাবে দিনের বেলায় গুলি চালানোর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন বলেন, কয়েক বছর আগে এখানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু কাউকে লক্ষ্য করে গুলি করার মতো কোনও কিছু ঘটেনি। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে দোকানগুলির সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে ফুটেজ দেখে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, যে যুবক গুলি করে পালায়, সে লাল রঙের গেঞ্জি পড়েছিল। গুলি করার কারণ নিয়ে প্রথম দিকে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কারা এই কাণ্ড ঘটাতে পারে, তাদের নাম পুলিসকে জানিয়েছিলেন আহত যুবক। তার ভিত্তিতে বুদ্ধিশ্বর মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কয়েকজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ধৃতের সঙ্গে আহত যুবকের পুরনো শত্রুতা রয়েছে। একটি ঘটনায় বুদ্ধিশ্বরকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল প্রভাসবাবুর বিরুদ্ধে। তার বদলা নিতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।