বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছেলে আচান শেখ, দুই জামাই জামাল মল্লিক ও বাবর আলি মিস্ত্রিকে নিয়ে ভরা সংসার ছিল রফিক শেখের। নিজে দিনমজুরের কাজ করলেও জামাল ও বাবর আলি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাঁরা শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। ছেলে আচান শেখ দর্জির কাজের পাশাপাশি রাজমিস্ত্রির কাজও করতেন। মাত্র ছ’মাস আগে
ছেলের ঘটা করে বিয়ে দিয়েছিলেন রফিক সাহেব।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর বারে বারে মূর্ছা যাচ্ছেন রফিক শেখের স্ত্রী ফতেমা শেখ। কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন পুত্রবধূ রশিদা শেখ। শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন দুই মেয়ে মনোয়ারা শেখ, মেহেরবান মল্লিক। সোমবার সকালে ফতেমা শেখ বললেন, পাশের গ্রামের আব্দুল আজিজ বলেছিল তামিলনাড়ুতে ভালো কাজ আছে। মাসে ১২ হাজার টাকা করে পাবে। তাই রবিবার রাতে ছেলে ও দুই জামাইকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান কর্তা। যাওয়ার আগে মুড়ি, ছোলা, শশা পুঁটলিতে বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেসব আর খাওয়া হল না। চালকের জন্যই জীবন গেল সবার। পুত্রবধূ রশিদা শেখ বললেন, কী করে বাকি জীবন
কাটবে আমার? স্বামী বলেছিল পুজোর আগেই চলে আসবে বাড়িতে। কিন্তু তা আর হল না। সংসারটা ভেসে গেল।