রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত এই জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ২৬৬। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ৪২০ জন। এদিন পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৪,৫৬৮ জনের। প্রশাসন সূত্রের খবর, মোট সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাই ছিল রাজ্যের প্রথমস্থানে। কিন্তু, মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আছড়ে পড়েছিল এই জেলায়। ওই মাসে প্রতিদিন গড়ে চার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিল। তারই জেরে গত ২ জুন থেকে কলকাতাকে পিছনে ফেলে রাজ্যের প্রথম হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এখনও প্রথমস্থানেই রয়েছে। তবে, সংক্রমণ কমেছে। গত কয়েক সপ্তাহে দৈনিক সংক্রমণের গড় ১০০-র নীচে। গত দু’সপ্তাহে জেলার ১৯৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১৫টি করোনা-শূন্য। ২৬টি পুরসভার প্রায় সাড়ে চারশো ওয়ার্ডও করোনা-শূন্য। তাতে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে। তবে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে, ফের বেড়ে যেতে পারে বলে অনুমান।
প্রসঙ্গত, এখনও বহু সরকারি জায়গায় ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কোথাও দীর্ঘ লাইন। কোথাও আবার ‘টোকেন’ না থাকলে ভ্যাকসিন মিলছে না। ভ্যাকসিন না নিয়ে অনেকের মোবাইলে প্রথম ডোজের এসএমএসও চলে এসেছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন কম। তাই সমস্যা হচ্ছে। জোগান স্বাভাবিক থাকলে এই সমস্যাও মিটে যাবে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, যেমন ভ্যাকসিন পাচ্ছি, তেমনই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আমাদের জেলায় সাড়ে ২৪ লক্ষের বেশি মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন। প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ মানুষ দ্বিতীয় ডোজও পেয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, সুপার স্প্রেডার গ্রুপের আওতায় যাঁরা রয়েছেন, যেমন পরিবহণ কর্মী, সব্জি বিক্রেতা, তাঁদের আমরা স্পেশাল ক্যাম্প করে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি। বস্তি এলাকাগুলিতেও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
জেলাশাসক আরও বলেন, আগের চেয়ে আমাদের জেলায় করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে, সকলকে আরও বেশি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যাতে কোনওভাবে আবার বেড়ে না যায়। বাইরে বেরলে মাস্ক পরতেই হবে। সেইসঙ্গে জরুরি ভ্যাকসিন। তাই আমরা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি, ভ্যাকিসনের উপর বিশেষ জোর দিয়েছি।