রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
শুক্রবার রাতে ডিভিসি ১ লক্ষ ও শনিবার সকালে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার ফলে উদয়নারায়ণপুর ও আমতা ২ নং ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। শনিবার রাত থেকেই বাঁধ উপচে, ভেঙে দামোদরের জল গ্রামে ঢুকতে শুরু করে। উদয়নারায়ণপুরের পুরপাট থেকে খলতপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকায় ২৭ জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দামোদরের জলে রামপুর, ডিহিভুরশুট, আসন্ডা, কুরচি শিবপুর, হরালি, কানুপাট মনসুকা, সিংটি ও গড় ভবানীপুর সোনাতলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা পুরোপুরি ডুবে গিয়েছে। এদিকে, আমতা থেকে উদয়নারায়ণপুর যাওয়ার রাস্তায় রাজাপুর সহ একাধিক জায়গায়, রাজাপুর থেকে জয়নগর যাওয়ার একাধিক রাস্তায় এবং উদয়নারায়ণপুর থেকে ডিহিভুরশুট যাওয়ার একাধিক জায়গায় রাস্তার উপর কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে। ফলে যান চলাচল পুরোপুরি স্তব্ধ। হাওড়া ও হুগলির সঙ্গে উদয়নারায়ণপুরের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, শনিবার রাত থেকেই গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করায় অনেকেই বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেকে রাস্তার পাশেই ত্রিপল খাটিয়ে রয়েছেন। বেশ কয়েকটি জায়গায় জলে আটকে পড়া মানুষদের যাতায়াতের জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ডিভিসির ছাড়া জলে রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। দীপাঞ্চলের সঙ্গে জেলার যোগাযোগ স্থাপনকারী কুলিয়ার বাঁশের সেতু শনিবার রাতে জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ব্লক প্রশাসনের আশঙ্কা, রবিবার রাত থেকে নদীতে জল বাড়লে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। যদিও ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নৌকা, স্পিড বোট, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে বন্যা কবলিত আমতা ও উদয়নারায়ণপুর পরিদর্শনে যান রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়। আমতা ২ নং ব্লকে ও উদয়নারায়ণপুরে প্রশাসনিকও বৈঠক করেন তিনি। পরে উধয়নারায়ণপুরে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের ত্রাণ বিতরণও করেন মন্ত্রী। এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য, আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল, উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা, হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপার সৌম্য রায়, সহকারী সভাপতি অজয় ভট্টাচার্য, উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক শমীককুমার ঘোষ। মন্ত্রী বলেন, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় এই এলাকার খোঁজখবর নিচ্ছেন।
অপরদিকে, রবিবার হুগলির জাঙ্গিপাড়া ব্লকের অমরপুর, সন্তোষপুর, চাচুঁয়া, বসন্তপুর, ধনপোতা এলাকার পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। যদিও এখনও যান চলাচল শুরু হয়নি।