বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মডেলিংয়ের টোপ দিয়ে অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে পর্ন অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে বিক্রির ঘটনায় সম্প্রতি নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দুই তরুণী। তাঁদের দাবি, বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে একটি স্টুডিওতে ডেকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে অশ্লীল ভিডিও শ্যুটের জন্য বাধ্য করা হয়েছিল। এই মামলায় গত বুধবার রাতে দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে দুই মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে একজন মডেল, নাম নন্দিতা দত্ত (৩০)। অপরজন ফটোগ্রাফার মৈনাক ঘোষ (৩৯)। দু’জনেই বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। পুলিস সূত্রে খবর, জেরার মুখে তাঁরা নীল ছবি পরিচালনার কথা স্বীকার করেছেন। দু’জনে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই হদিশ মেলে গরফার এই স্টুডিওর। সেখানেও এমন ভিডিও শ্যুট করা হতো কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে অন্য কোনও স্টুডিওর অস্তিত্ব সম্পর্কেও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। থানা সূত্রে খবর, স্টুডিওটির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জায়গায় অশ্লীল ভিডিওর শ্যুটিং চলত কি না, সেব্যাপারেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি এরকম শ্যুটের কথা জানতেন নাকি তাঁর অজান্তেই চলত, সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে, নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে একজন অভিযোগকারিণীকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অশ্লীল ভিডিও শ্যুটে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি গত মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের। অভিযোগের ভিত্তিতে হোটেলটির আটতলার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে গেস্ট-লিস্ট। দুই অভিযুক্ত আবার বালিগঞ্জের স্টুডিওতে শ্যুটিংয়ের কথা স্বীকার করলেও নিউটাউনের হোটেলের বিষয়টি স্বীকার করতে নারাজ। পুলিস সূত্রে খবর, তরুণীরা স্বেচ্ছায় অশ্লীল ভিডিও শ্যুটে রাজি ছিল বলেই জেরায় দাবি করেছেন দুই অভিযুক্ত। অভিযোগকারিণী অবশ্য জানিয়েছেন, নিউটাউনের হোটেলের লবি থেকে অভিযুক্ত মৈনাকই তাঁকে নিয়ে যায়। প্রবেশের সময় তাঁর থেকে কোনও পরিচয়পত্রও চাওয়া হয়নি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে, ফেসবুকে যিনি প্রাথমিকভাবে অভিযোগকারিণীর যোগাযোগ করেছিলেন, তাঁর খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তাঁদের একসঙ্গে জেরা করা হতে পারে বলে থানা সূত্রে খবর।